আন্তর্জাতিক

২৮ বছর পর ইরাক সফরে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ১৯৯০ সাল থেকে দীর্ঘ ২৮ বছর পর এই প্রথম সৌদি আরবের কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ইরাক সফর করলেন আবদেল আল-জুবায়ের। ইরাকের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনের বার্তা নিয়ে শনিবার হঠাৎ বাগদাদ সফরে যান সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুবায়ের। এ ছাড়া ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের পর এই প্রথম সৌদি আরবের কোনো উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তার ইরাক সফরও এটি। জুবায়ের বলেন, ‘ভ্রাতৃপ্রতিম দুই দেশের মধ্যে উন্নত সম্পর্ক গড়ে তোলার আশা করে সৌদি সাম্রাজ্য।’ তিনি আরো বলেন, দুই দেশের মধ্যে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সুযোগসহ উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মতো অনেক যৌথ স্বার্থ রয়েছে।’ ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইব্রাহিম আল-জাফারির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জুবায়ের। ইরাকে নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগে সৌদি আরবের পরিকল্পনার কথা জানান তিনি। ইরাকের একজন পররাষ্ট্র কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দুই দেশের মধ্যে সরসারি ফ্লাইট রাখার পক্ষে সমর্থন করছে সৌদি সাম্রাজ্য। ইরাকে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত তামির আল-শাবানকে গত বছর আগস্ট মাসে প্রত্যাহার করা হয়। ইরাক বিষয়ে ইরানের হস্তক্ষেপ ও সে দেশে সুন্নি মুসলিমদের ওপর দমন-পীড়ন নিয়ে কথা বলায় সৌদি রাষ্ট্রদূত শাবানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে ইরাকি শিয়া ও মিলিশিয়া নেতারা। এরপর তাকে প্রত্যাহার করে নেয় সৌদি আরব। জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে শিয়া প্যারামিলিটারি গ্রুপের অংশগ্রহণ বাদ দেওয়ার আহ্বান জানান শাবান। ২৫ বছর বাগদাদ দূতাবাস বন্ধ রাখে সৌদি আরব। এরপর ২০১৫ সালে দূতাবাস চালু করার পর নিয়োগ পাওয়া প্রথম সৌদি রাষ্ট্রদূত ছিলেন শাবান। সৌদি আরবের অভিযোগ ছিল, দীর্ঘদিন ইরানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল ইরাকের। মধ্যপ্রাচ্যে সৌদি আরবের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ইরান। ফলে তারা ইরাকের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/রাসেল পারভেজ/এএন