আন্তর্জাতিক

ধর্ষণের অভিযোগে প্রজাপতি গ্রেপ্তার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এক নারীকে ধর্ষণ ও তার মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে মামলা করার পর ভারতের উত্তর প্রদেশের মন্ত্রী গায়ত্রী প্রজাপতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে উত্তর প্রদেশের রাজধানী লখনো থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন প্রজাপতি। উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের মধ্যে উধাও হয়ে যান তিনি। এর আগে তাকে গ্রেপ্তারের জন্য উত্তর প্রদেশ পুলিশকে নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট। অভিযোগে বলা হয়েছে, গত বছর অক্টোবর মাসে অভিযোগকারী নারীকে অন্য ছয়জনকে সঙ্গে নিয়ে গণধর্ষণ করেন প্রজাপতি। ওই নারীর ১৬ বছরের মেয়েকেও ধর্ষণের চেষ্টা করেন তারা। সমাজবাদী পার্টির নেতা ও বিধানসভার মন্ত্রী প্রজাপতি এবারের নির্বাচনে আমেথি থেকে নির্বাচন করে হেরে গেছেন। গতবার জিতে মন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। নির্বাচনী প্রচারের মধ্যে প্রজাপতিকে গ্রেপ্তারে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিলে বিপাকে পড়ে যায় মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের দল সমাজবাদী পার্টি। বিজেপি অভিযোগ করে, অখিলেশ তার ধর্ষক মন্ত্রীকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। এ ছাড়া নির্বাচনে প্রজাপতির পক্ষে প্রচার চালানোরও অভিযোগ আনে বিজেপি। তবে অখিলেশ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন। এবার উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে ক্ষমতাসীন সমাজবাদী পার্টির। বিধানসভার মোট ৪০৩টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ৩২৫টি। সেখানে ক্ষমতাসীনরা কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেও পেয়েছে মাত্র ৪৭টি আসন। এই নির্বাচনী ভরাডুবির জন্য প্রজাপতির ধর্ষণ কেলেঙ্কারি বিরাট ভূমিকা রেখেছে। উত্তর প্রদেশে বিজেপির ব্যাপক জয়ের পর প্রথম বক্তব্যে বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ বলেন, প্রজাপতিকে খুঁজে বের করা হবে এবং তাকে গ্রেপ্তারও করা হবে। এই মামলায় অভিযুক্ত অন্য ছয়জনকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া মঙ্গলবার প্রজাপতির ছেলে অনুরাগ প্রজাপতিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তুলে আনে পুলিশ।

       

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ মার্চ ২০১৭/রাসেল পারভেজ/এএন