আন্তর্জাতিক

সংবাদ না প্রকাশে সাত মিডিয়াকে জরিমানা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : একটি সংবাদ প্রকাশ না করায় ইকুয়েডরে সাত মিডিয়াকে জরিমানা করা হয়েছে। গণমাধ্যমের ওপর নজরদারিবিষয়ক ইকুয়েডরের সরকারি কর্তৃপক্ষ সুপারকমের দাবি, ওই প্রতিবেদন ছিল জনস্বার্থ-সংশ্লিষ্ট। বিরোধী রাজনৈতিক নেতা ও ২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী গুইলারমো লাসোর বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে ব্যবসাবিষয়ক অনিয়মের প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি গণমাধ্যম। বিবিসি অনলাইনের এক খবরে রোববার এ তথ্য জানানো হয়েছে। ইকুয়েডরের গণমাধ্যমে সংবাদটি প্রকাশিত না হলেও মার্চ মাসে আর্জেন্টিনার একটি সংবাদপত্র সেটি প্রকাশ করে। নির্বাচনকে সামনে রেখে সেই প্রতিবেদন পরে ইকুয়েডরের কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। কিন্তু জরিমানার শিকার ওই সাত প্রতিষ্ঠান সংবাদটি প্রকাশ করেনি। তবে ওই সংবাদটি প্রকাশ না করার বিষয়ে গণমাধ্যম ও নজরদারি প্রতিষ্ঠান সুপারকম পরস্পরকে দোষারোপ করছে। মিডিয়া প্রতিষ্ঠানগুলো দাবি করছে, অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ আরোপ করায় তারা ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। এ নিয়ে গণমাধ্যমগুলো আপিল করেছে। জরিমানার শিকার সাত মিডিয়া প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চারটি সংবাদপত্র এবং তিনটি টেলিভিশন চ্যানেল রয়েছে। সংবাদপত্র চারটি হলো- এল কমার্সিয়ো, লা হোরা, এক্সপ্রেসো ও এল ইউনিভার্সো এবং টেলিভিশন চ্যানেলগুলো হলো- টেলিভিসেন্ট্রো, টেলিআমাজোনাস এবং ইকুয়েভিসা। এ প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৩ হাজার ৭৫০ ডলার জরিমানা করেছে সুপারকম। বাকস্বাধীনতার স্থানীয় সংগঠন ফান্ডামেডিয়স বলেছে, ‘গণমাধ্যমকে এ ধরনের জরিমানা করা উচিত হয়নি। এটি নিয়ন্ত্রণ আরোপের এমন একটি ঘটনা, যাতে গণমাধ্যম কী প্রকাশ করবে আর না করবে, তা ঠিক করে দেওয়ার জন্য সরকার সম্পাদকের ভূমিকা গ্রহণ করছে।’ ইকুয়েডরের বিতর্কিত ‘যোগাযোগ আইন’-এর ওপর ভিত্তি করে গণমাধ্যমের ওপর নজরদারির প্রতিষ্ঠান সুপারকম পরিচালিত হয়। ২০১৩ সালে প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কোয়েরা এই আইন প্রবর্তন করেন। এই আইন বলে সুপারকম যেকোনো গণমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ, জরিমানা ও বন্ধ করে দিতে পারে। ২ এপ্রিলের নির্বাচনে বিজয়ী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বামপন্থি লেনিন মরেনো জানিয়েছেন, তার আমলে সুপারকম একই আইনে চলবে। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ এপ্রিল ২০১৭/রাসেল পারভেজ