আন্তর্জাতিক

গরুর মাংস না থাকায় ভেঙে গেল বিয়ে!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল না গরুর মাংসের। অন্য আরো নানা পদের খাবার থাকলেও তাতে বর সন্তষ্ট নয়। আর তাই পাত্রপক্ষ ভীষণ ক্ষেপে যায়। তাদের চাই গরুর কাবাব, কোর্মা এবং বিরিয়ানি। কনেপক্ষ সে সব খাবার দিতে না পারায় ভেঙে যায় বিয়ে। তবে বৃথা যায়নি কনে পক্ষের আয়োজন। ওই আসরেই অন্য একজনের সঙ্গে কনের বিয়ে হয়। তাতে হাফ ছেড়ে বাঁচেন সবাই। ভারতের উত্তর প্রদেশের মুজাফফর নগরে এ ঘটনা ঘটে। মুজাফফর নগরের কুলেদি গ্রামের একটি বিয়ে বাড়ি। বর আসবে, তাই নানা আয়োজন করে কনে পক্ষ। তবে ছিল না গরুর মাংস। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ক্ষমতা গ্রহণের পর তার নির্দেশে অবৈধ কসাইখানা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে মাংসের দামও অনেক বেড়ে যায়। পর্যাপ্ত জোগানও নেই। তাই ওই রাজ্যে গরুর মাংস পাওয়া কঠিন হয়ে যায়। ফলে বিয়েতে গরুর কাবাব, গরুর কোর্মা এবং বিরিয়ানির জন্য প্রয়োজনীয় মাংসের ব্যবস্থা করতে পারেনি কনেপক্ষ। তাই তারা সবজি ও ফল-ফলাদি দিয়ে নানা আয়োজন করেছিল। কনেপক্ষের বাড়িতে এসে বর রিজওয়ান ও তার পরিবারের সদস্যরা গরুর মাংসের কাবাব, কোর্মা এবং বিরিয়ানির কথা বলে। কিন্তু এসব পদ করতে না পারার কথা জানায় কনে নাগমার পরিবার। কেন পারেনি, তার ব্যাখ্যাও তুলে ধরে তারা বরপক্ষের কাছে। কিন্তু বরপক্ষ অনড়। তাদের দাবি মাংসের ওইসব পদ লাগবেই, নইলে বিয়ে হবে না। বিপাকে পরে নাগমার পরিবার গ্রামের গণ্য-মান্য ব্যক্তি ও পঞ্চায়েত ডাকেন। কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হয়নি। পাত্রপক্ষ বিয়ে ভেঙে দেয়। চলে যান বর রিজওয়ান। এতে মুষড়ে পড়ে কনেপক্ষ। গ্রামের লোকজনও ব্যথিত হয় বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়ায়। এ সময়ে যেন ত্রাতা হয়ে আসেন এক যুবক। বিয়ের অনুষ্ঠানে তিনি নিমন্ত্রিত হয়ে এসেছিলেন। বরপক্ষ চলে যাওয়ার পর নাগমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন তিনি। তার প্রস্তাবে নাগমা ও তার পরিবার রাজি হয়ে যান। তখন সে আসরেই বাজে বিয়ের সানাই। নতুন দম্পতিকে পঞ্চায়েতসহ উপস্থিত সবাই আশীর্বাদ করলেন। সিনেমার কাহিনির মতো যেন মধুরেনুতে সমাপ্তি হলো। সূত্র : এনডিটিভি অনলাইন

   

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৮ এপ্রিল ২০১৭/সাইফ/এনএ