আন্তর্জাতিক

প্রাণ গেল আরো দুই ফিলিস্তিনির

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে পশ্চিম তীরে পৃথক সংঘর্ষের ঘটনায় প্রাণ গেল আরো দুই ফিলিস্তিনির। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রোববার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর আলজাজিরা অনলাইনের। জেরুজালেমের পূর্বে আল-এইজারিয়া শহরে শনিবার ইসরায়েলি পুলিশের গুলিতে আহত ১৭ বছর বয়সি ওদায় নাওয়াজা মারা গেছে। অন্যদিকে, পশ্চিম তীরে আবু দিস গ্রামে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের সময় ১৮ বছর বয়সি তরুণের হাতেই বোমাটি ফেটে যাওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে। ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে, জেরুজালেমে কয়েকডজন বিক্ষোভকারী, যারা তাদের ওপর পাথর ও বোতল ছুঁড়ে মারছিল, তাদের ছত্রভঙ্গ করতে রায়ট গিয়ার ব্যবহার করে তারা। তবে টেলিভিশন ফুটেজে দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীদের ওপর স্টান গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার করে ইসরায়েলি পুলিশ। শনিবার পশ্চিম তীরে অতিরিক্ত সেনা পাঠায় ইসরায়েল। শুক্রবার ছুরিকাঘাতে যে ফিলিস্তিনি তিন ইসরায়েলিকে হত্যা করে, শনিবার কোবার গ্রামে তার বাড়িতে অভিযান চালায় সেনারা। তার এক ভাইকে আটক করে ইসরায়েল এবং তাদের বাড়ি ধ্বংস করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আল-আকসা মসজিদের প্রবেশপথে মেটাল ডিটেক্টর বসানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে ফিলিস্তিনিরা। এ সময় সংঘর্ষে তিনি ফিলিস্তিনি নিহত হন এবং আহত হন তিন শতাধিক। এর কয়েক ঘণ্টা পরে তিন ইসরায়েলিকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনা ঘটে। ইসরায়েলি টেলিভিশন চ্যানেল-২ শনিবার এক খবরে দাবি করে, আল-আকসার প্রবেশপথ থেকে মেটাল ডিটেক্টর সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মেটাল ডিটেক্টরের বদলে হাতে নিয়ন্ত্রিত ডিটেক্টর বসানো হবে। কিন্তু এ বিষয়ে ইসরায়েল সরকার এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। গত সপ্তাহে আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে গুলিতে দুই ইসরায়েলি নিহত হওয়ার পর দুই দিন মসজিদ বন্ধ রাখে ইসরায়েল। এ নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে ফিলিস্তিনিরা। পরে মসজিদ খুলে দেওয়া হলেও প্রবেশপথে মেটাল ডিটেক্টর বসানোয় নতুন করে আবার বিক্ষোভ শুরু হয়।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ জুলাই ২০১৭/রাসেল পারভেজ