আন্তর্জাতিক

দক্ষিণ কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষমতা বাড়াতে চায়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উত্তর কোরিয়ার হুমকি মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া দু’দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি পর্যালোচনায় সম্মত হয়েছে। আন্তর্জাতিক হুঁশিয়ারি ও জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে চালানো উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ও পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির পাল্টা হিসেবে প্রতিরক্ষা জোরদারে দক্ষিণ কোরিয়া তার ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষমতা আরো বাড়াতে চায়। দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নয়নে যে চুক্তি হয়েছিল সে বিষয়টি পর্যালোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন একমত পোষণ করেছেন। রয়টার্স জানিয়েছে, শনিবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বলা হচ্ছে, উত্তর কোরিয়ার অব্যাহত ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক পরীক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে কয়েকশ’ কোটি ডলারের সামরিক সরঞ্জাম কিনতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রস্তাবের বিষয়েও ট্রাম্প নীতিগত সম্মতি দিয়েছেন। হোয়াইট হাউস বলছে, চুক্তি পর্যালোচনায় সম্মত হওয়ার পাশাপাশি দুই নেতা উত্তর কোরিয়ার হুমকি মোকাবেলায় তাদের ওপর শক্ত কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ বৃদ্ধির ব্যাপারেও একমত হয়েছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেনসিয়াল ব্লু হাউস থেকে বলা হয়েছে, সিউলের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা জোরদার করা প্রয়োজন বলে দুই নেতা নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছেন। উত্তরের উসকানি ও হুমকির কথা উল্লেখ করে দক্ষিণ কোরিয়া তার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করার ইচ্ছা পোষণ করলে তাতে সাঁড়া দেয় যুক্তরাষ্ট্র। দক্ষিণ কোরিয়া ২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এক চুক্তির প্রেক্ষিতে পাঁচশ কেজি ওজন বহনে সক্ষম ৮০০ কিলোমিটার দূরত্ব যেতে পারে এমন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বানাতে কাজ করছে। সিউল এখন সে সক্ষমতা আরো বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে করা চুক্তি নতুন করে পর্যালোচনা করতে চায়। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে পিয়ংইয়ংয়ের ছোড়া মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হোয়াসং-১২ জাপানের ওপর দিয়ে উড়ে গিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরে পড়লে পুরো অঞ্চলে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে গত জুলাইয়ে দুটি দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। এসব ক্ষেপণাস্ত্র ১০ হাজার কিলোমিটার বা তারও বেশি উড়ে লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে ও যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানতে পারবে বলে পিয়ংইয়ং দাবি করে আসছে। এছাড়া সম্প্রতি তারা প্রশান্ত মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের দখলে থাকা গুয়ামে হামলারও হুমকি দিয়েছে। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২ সেপ্টেম্বর ২০১৭/এনএ/এসএন