আন্তর্জাতিক

তিনবারের সাক্ষাতে কী কথা হলো তাদের?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের গত বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ এবং রাশিয়ার সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্প শিবিরের আঁতাত নিয়ে যখন চুলচেরা বিশ্লেষণ ও তদন্ত চলছে, তখন ভিয়েতনামে তিনবার মুখোমুখি হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ভিয়েতনামের বন্দর নগর দানাংয়ে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থার (অ্যাপেক) তিন দিনব্যাপী শীর্ষ সম্মেলন চলাকালীন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে তিনবারের সংক্ষিপ্ত দেখায় তাদের মধ্যে কিছু কথাও হয়েছে। প্রতিবার সাক্ষাতের সময় তাদের হাস্যোজ্জ্বল দেখা গেছে। দুজনে একই ধরনের নীলরঙা শার্ট পরে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছেন। তাদের মধ্যে উষ্ণ শুভেচ্ছা বিনিময় হয়েছে। কী কথা হয়েছে তাদের মধ্যে? এ নিয়ে কৌতূহল ও গুঞ্জনের অন্ত নেই। কারণ এমন সময় তারা দেখা করলেন যখন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নিয়ে ব্যাপক চাপের মুখে রয়েছেন ট্রাম্প ও তার ঘনিষ্ট সহযোগীরা। ক্রেমলিনের কর্মকর্তারা এক বিবৃতিতে দাবি করেছেন, শনিবার দুই নেতার সংক্ষিপ্ত আলাপের সময় তারা সিরিয়ায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) চূড়ান্ত পতন না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সংক্ষিপ্ত আলাপের পর বিশেষজ্ঞরা ট্রাম্প ও পুতিনের অবস্থান নিয়ে বিবৃতিটি তৈরি করেছেন। তবে বিবৃতির বিষয়ে হোয়াইট হাউস কোনো মন্তব্য করেনি।

শুক্রবার একই ধরনের নীলরঙা শার্ট পরে ছবি তোলেন ট্রাম্প ও পুতিন

অ্যাপেক শীর্ষ সম্মেলনে ট্রাম্প ও পুতিনের একটি পূর্ণাঙ্গ দ্বিপক্ষীয় পার্শ্ববৈঠক হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছিল। কিন্তু তা হয়েছে কিনা, তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর গত জুলাই মাসে জার্মানির হাম্বুর্গে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে পুতিনের সঙ্গে তার প্রথম সাক্ষাৎ হয়। সেই সময়েও যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা চলছিল। ট্রাম্প তার ক্ষমতার এক বছরের মাথায় এসেও একই বিষয় নিয়ে এখন আরো বেশি চাপের মুখে রয়েছেন। হোয়াইট হাউস আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য না করলেও ক্রেমলিন তাদের বিবৃতিতে দাবি করেছে, সিরিয়া গৃহযুদ্ধের কোনো সামরিক সমাধান নেই বলে পুতিন ও ট্রাম্প একমত পোষণ করেছেন। তারা জোর দিয়েছেন আইএসের পতনের ওপর। সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য দেশটির সব পক্ষকে জেনেভা শান্তি প্রক্রিয়ায় যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। সিরিয়া গৃহযুদ্ধে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে সমর্থন করছে রাশিয়া। অপরদিকে, সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠী, সিরীয় আরব ও কুর্দি যোদ্ধাদের সাহায্য করছে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। ২০১১ সাল থেকে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে। তথ্যসূত্র : বিবিসি অনলাইন রাইজিংবিডি/ঢাকা/১১ নভেম্বর ২০১৭/রাসেল পারভেজ