আন্তর্জাতিক

হৃদরোগ কমাবে কুকুর!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে কুকুর পোষা যেতে পারে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা কুকুর পোষেণ অন্যদের তুলনায় তাদের হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি কম। সুইডেনের একদল গবেষক দাবি করেছেন, যারা কুকুর পোষেণ না তাদের তুলনায় যারা পোষেণ তাদের হৃদরোগ ও অন্যান্য অসুখ হওয়ার আশঙ্কা কম। তারা ৩৪ লাখ লোকের ওপর গবেষণা চালিয়ে এ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। জাতীয়ভাবে নিবন্ধনকৃত জনগণ যাদের বয়স ৪০ থেকে ৮০ বছর এবং যারা কুকুরের মালিক তাদের ওপর জরিপ চালানো হয়। যারা কুকুর পোষেণ বিশেষ করে শিকারি কুকুর পোষেণ সাধারণ ব্যক্তিদের তুলনায় তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি কম। গবেষকরা বলেছেন, কুকুরগুলো তাদের মালিকদের শারীরিকভাবে সক্রিয় রাখে। যারা কুকুর পোষেণ তাদের সামাজিক যোগাযোগ ও কল্যাণমূলক কাজ বেড়ে যায়। এ ছাড়া কুকুর তার মালিকের শরীরের ব্যাকটেরিয়া অনুজীবগুলোর পরিবর্তনে ভূমিকা রাখে। যার ফলে তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়। তারা আরো বলেছেন, যারা একা থাকেন তাদের ওপর প্রতিরক্ষামূলক প্রভাব ফেলে পোষা কুকুরগুলো। গবেষণকদলে নেতৃত্ব দেন সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের ময়েনা মুবাঙা। তিনি বলেছেন, গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, যারা একা থাকেন তাদের ৩৩ শতাংশ মৃত্যু ঝুঁকি কমে শুধু কুকুর পোষার কারণে। আর হৃদরোগের ঝুঁকি কমে ১১ শতাংশ। এর আগে গবেষণায় দেখা যায়, যারা একা থাকেন তাদের মৃত্যু ঝুঁকি ও হৃদরোগের ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় বেশি। ড. ময়েনা মুবাঙা বলেন, যারা একা থাকেন কুকুর তাদের পরিবারের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্যের মতোই হয়ে ওঠেন। বিজ্ঞান সাময়িকী ন্যাচারের ‘সায়েন্টিফিক রিপোর্টস’ বিভাগে সম্প্রতি এ-বিষয়ক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। গবেষণাদলের সদস্যরা ২০০১ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত উপাত্ত সংগ্রহ করেন। সুইডেনে ২০০১ সালের পর থেকে যারা কুকুর পালন করেন তাদের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়। ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের ড. মাইক ন্যাপটন বলেছেন, কুকুর পালনকারী সংগঠনগুলো জনগণের মৃত্যুহার ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করছে। কুকুর পোষার ফলে আমরা সঠিকভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাটাও জানতে পারি। তবে অনেকেই বলেন, তারা শুধু নিছক আনন্দ পেতেই কুকুর পোষেণ। তিনি বলেন, যাই হোক আমরা কুকুর পালন করি আর নাই করি হৃদযন্ত্রকে সচল রাখতে আমাদের সক্রিয় হওয়া উচিত। তথ্যসূত্র : বিবিসি অনলাইন রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ নভেম্বর ২০১৭/ইভা/রাসেল পারভেজ