আন্তর্জাতিক

‘আমেরিকা আগে’ নীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক আরোপ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘আমেরিকা আগে’ বাণিজ্য নীতির আলোকে দেশীয় পণ্যের বাজার সুরক্ষার জন্য ওয়াশিং মেশিন ও সোলার প্যানেল আমদানির ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যা নিয়ে বিতর্ক চলছে। বিদেশি পণ্যের প্রতিযোগিতার মুখে এই দুই পণ্যের মার্কিন নির্মাতাদের জন্য বাজার উন্মুক্ত রাখতে ট্রাম্প প্রশাসন শুল্ক আরোপের বিতর্কিত এ পদক্ষেপ নিয়েছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানির জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার ওয়াশিং মেশিন উৎপাদক ও চীনের সোলার প্যানেল প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে চীন ও দক্ষিণ কোরিয়া। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার শুরু থেকে এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে কথা বলে আসছিলেন। ট্রান্স প্যাসিফিক পার্টনারশিপ (টিপিপি) চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেওয়া ও নর্থ আমেরিকান ফ্রি ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট (নাফটা) চুক্তি নিয়ে নতুন  করে সমঝোতার উদ্যোগ নেওয়ার ধারাবাহিকতায় বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ‘আমেরিকা আগে’ নীতি বাস্তবায়নের দিকে নজর দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সোলার প্যানেল আমদানির ক্ষেত্রে যে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, তা যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ উৎপাদকদের প্রত্যাশার চেয়ে কম কিন্তু ওয়াশিং মেশিন ও এর যন্ত্রাংশের ক্ষেত্রে অনেক বেশি, ক্ষেত্রবিশেষে তা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে শুল্ক আরোপ করেছে, তা খুবই অতিরিক্ত ও অসহনীয়। এ বিষয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) কাছে অভিযোগ করবে তারা। স্যামসাং, এলজি-সহ দক্ষিণ কোরিয়ার ওয়াশিং মেশিন উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে হুইর্লপুলের মতো তাদের দেশীয় কোম্পানিগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে টিকে আছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় সোলার প্যানেল প্রস্তুতকারক দেশ চীনও যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে। তারা বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপে বিশ্বে বাণিজ্য পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। তবে যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, সস্তায় বিদেশি পণ্য আমদানি কমলে দেশি পণ্যের বাজার বাড়বে এবং কর্মসংস্থাও বাড়বে।  তথ্যসূত্র : বিবিসি অনলাইন

   

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ জানুয়ারি ২০১৮/রাসেল পারভেজ