আন্তর্জাতিক

মালদ্বীপের সুপ্রিম কোর্টের ইউটার্ন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দুই বিচারপতিকে গ্রেপ্তারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রনোদিতভাবে’ গ্রেপ্তার বিরোধী দলের কয়েকজন নেতার মুক্তির রায়ের বিষয়ে সম্পূর্ন বিপরীত অবস্থান নিয়েছে মালদ্বীপের সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার রাতে সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারক এক বিবৃতিতে ‘প্রেসিডেন্টের উত্থাপিত উদ্বেগের আলোকে’ আগের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার এবং গ্রেপ্তারকৃতদের পুনঃবিচারের ঘোষণা দেন। গত সপ্তাহে সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদসহ বিরোধী দলের ৯ এমপিকে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে বিচার করে কারাদণ্ড দেওয়ার ঘটনাকে ‘অসাংবিধানিক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত’ বলে মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্ট। আদালত একইসঙ্গে তাদের মুক্তির নির্দেশ দেয়। এছাড়া প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনের পক্ষে অবস্থান নেওয়া সরকার দলীয় ১২ এমপিকে তাদের স্বপদে বহালেরও ঘোষণা দেয় আদালত। ইয়ামিন সরকার সুপ্রিম কোর্টের এ আদেশ না মানার ঘোষণা দেয়। এর প্রতিক্রিয়ায় সুপ্রিম কোর্ট প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনের পক্ষে রুল দিতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেন দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল। সোমবার রাতে মালদ্বীপে জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি আব্দুল্লা সাইদ ও বিচারপতি আলি হামিদকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন ইয়ামিন। মঙ্গলবার রাতে সুপ্রিম কোর্টের অবশিষ্ট তিন বিচারপতি আগের আদেশ প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে রাতেই রায় প্রত্যাহারের এ ঘোষণা জানানো হয়। ইয়ামিন দাবি করেছেন, দুই বিচারপতি তার বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্র করেছিলেন। পার্লামেন্টে বিরোধী দলের এমপি ইভা আব্দুল্লা আল-জাজিরা অনলাইনকে বলেছেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট সেনাবাহিনীর নজরদারিতে রয়েছে। প্রধান বিচারপতি ও বিচারপতি হামিদ আলি কারাগারে রয়েছেন। নিজের চাহিদা অনুযায়ী রায় পাওয়ার আগ পর্যন্ত ইয়ামিন বাকি বিচারপতিদের নির্যাতন করেছেন ও ভয় দেখিয়েছেন।’ রাইজিংবিডি/ঢাকা/৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/শাহেদ