আন্তর্জাতিক

বোতলজাত পানিতেও মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বের নামী-দামি ব্রান্ডের বোতলজাত পানিতে মাইক্রোপ্লাস্টিক কণার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। ফ্রিডোনিয়ার নিউ ইয়র্ক স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছেন। আর এতে সহায়তা করেছে ওর্ব মিডিয়া নামে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সংক্রান্ত একটি অলাভজনক সংস্থা। গবেষকরা ব্রাজিল, চীন, ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়া, লেবানন, মেক্সিকো, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের ২৫৯ টি মিনারেল ওয়াটারের বোতল পরীক্ষা করেছেন। এতে দেখা গিয়েছে, ৯৩ শতাংশ ক্ষেত্রেই পানির মধ্যে মাইক্রোপ্লাস্টিকের অস্তিত্ব আছে। এসব ব্রান্ডের মধ্যে রয়েছে, আকুয়া (ড্যানন), আকুয়াফিনা (পেপসিকো), বিসলেরি (বিসলেরি ইন্টারন্যাশনাল), ডাসানি (কোকো-কোলা), ইপিউরা (পেপসিকো), ইভান (ড্যানন), জিরোস্টেইনার (জিরোস্টেইনার ব্রানেন), মিনালবা (গ্রুপো এডসন কুইরোজ), নেসলে পিওর লাইফ (নেসলে), সান পিলিগ্রিনো (নেসলে) এবং ওয়াহাহা (হাংঝু ওয়াহাহা গ্রুপ)। গবেষকদের মতে, বোতলজাত পানিতে যে মাইক্রোপ্লাস্টিকের কণা মিলেছে, তার মধ্যে রয়েছে পলিপ্রপি-লেন, নাইলন ও পলিথাইলিন টেরেপথালেটের মতো রাসায়নিক। এই রাসায়নিকের মধ্যে ৬৫ শতাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, এগুলি মাইক্রোপ্লাস্টিক কণার অংশবিশেষ, ফাইবার নয়। এক একটি বোতলে দশ হাজারেরও বেশি প্লাস্টিক কণার হদিস মিলেছে। প্রতি লিটারে হিসেব করলে যার গড় পরিমাণ হয় ১০ দশমিক ৪ শতাংশ। বোতলজাত পানিতে মাইক্রোপ্লাস্টিকের কণা প্রবেশের বিষয়ে গবেষক দলের সদস্য অ্যাবিগেইল ব্যারোস বলেন, মাইক্রোপ্লাস্টিকের কণা সহজেই বাতাসের মাধ্যমে পরিবাহিতি হয়। এটা কেবল বাইরেই নয়, বরং কারখানার ভেতরেও প্রবেশ করতে পারে। এটা ফ্যান অথবা কর্মীদের পরিহিত পোশাক থেকেও পরিবাহিত হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক মুখপাত্র ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে জানিয়েছেন, মানব স্বাস্থ্যের ওপর মাইক্রোপ্লাস্টিক কণার প্রভাব এখনো জানা যায়নি। তবে এটা উদ্বেগের বিষয় বটে। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৬ মার্চ ২০১৮/শাহেদ