আন্তর্জাতিক

২০৫০ সালে পানি সংকটে ভুগবে ৫০০ কোটি মানুষ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের ৫০০ কোটিরও বেশি মানুষ পানি সংকটে ভুগবে। জলবায়ু পরিবর্তন, পানির চাহিদা বৃদ্ধি ও দূষিত পানির সরবরাহের কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। সোমবার জাতিসংঘের দ্য ওয়ার্ল্ড ওয়াটার ডেভেলপমেন্ট প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে সতর্ক করে বলা হয়েছে, নদী, হ্রদ, পানির স্তর, জলাভূমি ও জলাধারের ওপর চাপ কমানো না হলে ভবিষ্যতে সংঘাত সৃষ্টি ও সভ্যতা বিপন্ন হতে পারে। খড়াকবলিত ব্রাজিলের ব্রাসিলিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, বিশেষ করে কৃষিক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন সম্ভব। তবে ইস্পাত ও কংক্রিটের পরিবর্তে প্রাকৃতিক সমাধান যা মাটি ও বৃক্ষের ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল তার দিকে ঝুঁকলেই এই পরিবর্তন সম্ভব। জাতিসংঘের পানিবিষয়ক দপ্তরের প্রধান গিলবার্ট হৌংবো বলেছেন, ‘ক্রমবর্ধমনা ভোগ, পরিবেশের ক্ষয়বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিভিন্ন প্রভাবের কারণে সুস্পষ্টভাবে বিশুদ্ধ পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার জন্য আমাদের নতুন পদ্ধতি প্রয়োজন।’ প্রতিবছর মানুষ প্রায় চার হাজার ৬০০ বর্গকিলোমিটার এলাকার পানি ব্যবহার করে। এর ৭০ শতাংশ ব্যবহৃত হয় কৃষিক্ষেত্রে, ২০ শতাংশ শিল্পে এবং ১০ শতাংশ গৃহস্থালিকর্মে। গত ১০০ বছরে বৈশ্বিক পানির চাহিদা ছয়গুন বেড়েছে। আর প্রতিবছর এ চাহিদা ১ শতাংশ করে বাড়ছে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০৫০ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা ৯৪০ থেকে ১০২০ কোটিতে যেয়ে পৌঁছবে। এই সময়ে প্রতি তিনজনে দুজন শহরে বাস করবে। সেই সুবাদে বিশুদ্ধ পানির চাহিদা বহুগুন বেড়ে যাবে। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে পানির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। এর মধ্যে আবার জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে জলজ অঞ্চলগুলো আরো প্লাবিত হবে এবং শুস্ক অঞ্চলগুলো আরো শুস্ক হবে। তাই পানির এই চাহিদা আরো বাড়বে। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ মার্চ ২০১৮/শাহেদ