আন্তর্জাতিক

দূতাবাসের ভেতরে খাশোগির লাশ টুকরো টুকরো করা হয়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে ইস্তাম্বুলে সৌদি দূতাবাসের ভেতরে প্রবেশের দুই ঘন্টার মধ্যে হত্যা করা হয়। এরপর করাত দিয়ে তার লাশ টুকরো টুকরো করা হয়। তুরস্কের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে মার্কিন দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইমস মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের শীর্ষ রাজকীয় আদালতের নির্দেশে খাশোগিকে হত্যা করা হয়। সৌদি আরব থেকে ইস্তাম্বুলে গিয়ে ১৫ জনের একটি ঘাতক টিম ওই হত্যা মিশনে অংশ নেয়। ওই নিরাপত্তা কর্মকর্তা আরো জানিয়েছেন, দু'টি ভাড়া করা বিমানে করে ঘাতকরা তুরস্কে গিয়েছিল। তারা ইস্তাম্বুলে পৌঁছেই দু'টি ইন্টারন্যাশনাল হোটেলে উঠে এবং সেখান থেকে সরাসরি ইস্তাম্বুলে সৌদি দূতাবাসে চলে যায়। সাংবাদিক খাশোগি দূতাবাসে পৌঁছার আগেই তারা হত্যার জন্য সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করে এবং খাশোগি সেখানে প্রবেশের পর তারা তাকে হত্যা করে। হত্যার পর তার মৃতদেহ টুকরো টুকরো করে ফেলা হয়। ঘাতক দলে একজন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ছিলেন এবং তিনি সঙ্গে করে একটি করাত নিয়ে এসেছিলেন। ওই করাত দিয়েই তাকে টুকরো টুকরো করা হয়। হত্যা মিশন শেষ করতে দুই ঘন্টা সময় লেগেছিল। মিশন শেষে ঘাতকরা দ্রুত তুরস্ক ত্যাগ করে। তুর্কি ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, খাশোগিকে হত্যার নির্দেশ সৌদি আরবের শীর্ষ পর্যায় থেকে এসেছে বলে নিরাপত্তা সূত্র থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। কারণ এই মাত্রার জটিল অভিযান শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশ ছাড়া হয় না। আমেরিকায় স্বেচ্ছানির্বাসনে থাকা জামাল খাশোগি তার প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের কাগজপত্র প্রদানের জন্য গত ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুল শহরের সৌদি দূতাবাসে যান । কিন্তু এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। তুরস্ক প্রথম থেকেই দাবি করে আসছিল খাশোগিকে দূতাবাসের ভেতরেই হত্যা করা হয়েছে। তবে সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে এর প্রতিবাদ জানিয়ে বলা হয়েছে, দূতাবাসে প্রবেশের কিছুক্ষণ পর খাশোগি চলে যান। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১০ অক্টোবর ২০১৮/শাহেদ