আন্তর্জাতিক

ভারতে গরু ইস্যুতে থানায় আক্রমণ-আগুন, পুলিশ হত্যা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের উত্তর প্রদেশে কয়েকটি গরুর মৃতদেহ পাওয়া নিয়ে ক্ষুব্ধ ‍উগ্র হিন্দুবাদী একটি গ্রুপ ‍থানায় হামলা চালিয়ে সেটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। উগ্রবাদীদের সাথে সংঘর্ষে এক পুলিশ কর্মকর্তা ও এক বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় উত্তর প্রদেশের বুলান্দশহরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত ইন্সপেক্টরের নাম সুবোধ কুমার সিং। তিনি বুলান্দশহর থানায় কর্মরত ছিলেন। সোমবার সন্ধ্যায় বুলান্দশহরের একটি বনে ২৫টি গরুর মৃতদেহ পাওয়া যায়। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ হয় ডানপন্থি হিন্দুদের গ্রুপ বজরং দল। তারা বন সংলগ্ন রাস্তা অবরোধ করে। এতে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। ইন্সপেক্টর সুবোধ কুমার সিংয়ের নেতৃত্বে পুলিশ তাদেরকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দিতে গেলে সংঘর্ষ বাঁধে। উগ্র গ্রুপটির শত শত কর্মী পুলিশকে তাড়া করে। তারা পুলিশের ওপর ইট-পাথর ছুঁড়ে মারে, পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ইন্সপেক্টর সুবোধ কুমার সিংয়ের গাড়িচালক বলেন, ‘স্যার ইটের আঘাতে আহত হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য গাড়িতে তুলি। কিন্তু উগ্র জনতা আমাদের গাড়ি ধাওয়া করে একটি মাঠের কোণায় ধরে ফেলে। আমি প্রাণভয়ে গাড়ি ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যাই। এরপর কী ঘটেছে তা জানি না।’ প্রত্যক্ষদর্শী অন্যরা জানান, চালক গাড়ি ফেলে পালিয়ে যাওয়ার পর উদ্র হিন্দুত্ববাদী গ্রুপের কয়েকজন ইন্সপেক্টর সুবোধকে গুলি করে হত্যা করে। এ সময় কয়েকজনকে বলতে শোনা যায়, ‘গুলি মারো, গুলি মারো’। এ ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলা, হত্যা, আগুনের অভিযোগে একাধিক মামলা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ২৪ জনকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। এর মধ্যে যোগেশ রাজ নামের একজনসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ভারতে ২০১৪ বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশটিতে হিন্দুত্ববাদী কয়েকটি উগ্র গ্রুপ গরু ইস্যুতে বেশ বাড়াবাড়ি করছে। বেশ কয়েকটি ঘটনায় গরুর মাংস বহনকারী মুসলমানদের পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তথ্য : এনডিটিভি ও বিবিসি রাইজিংবিডি/ঢাকা/৪ ডিসেম্বর ২০১৮/সাইফুল