আন্তর্জাতিক

মুসলমানদের কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে রাখছে চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনের কড়া সমালোচনা করে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, সিনজিয়াংয়ে ১০ লাখেরও বেশি মুসলমানকে কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে রাখছে বেইজিং। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তরের এশিয়া অঞ্চলের নীতি নির্ধারকদের প্রধান র‌্যান্ডাল স্কিরিভার এ মন্তব্য করেছেন। এই প্রথম উইঘুর মুসলমানদের ওপর চীনা নিপীড়নের কড়া সমালোচনা করলো যুক্তরাষ্ট্র। ধারণা করা হচ্ছে এর মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যকার কূটনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পাবে। অভিযোগ রয়েছে, ‘কারিগরি শিক্ষার’ নামে চীন সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলমানদের আটককেন্দ্রে নিয়ে নির্যাতন ও জিজ্ঞাসাবাদ করে। এসব বন্দীদের গাদাগাদি করে একটি কক্ষে রাখা হয়। প্রতিদিনের নির্যাতনের মাত্রা এতোটাই বেশি থাকে যে অনেক বন্দী আত্মহত্যারও চেষ্টা করেন। এসব বন্দীশিবির বা আটককেন্দ্রগুলোর চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া ও পর্যবেক্ষণ চৌকি থাকে। র‌্যান্ডাল স্কিরিভার পেন্টাগনে দেওয়া ব্রিফিংয়ে বলেছেন, ‘চীনা কমিউনিস্ট পার্টি নিরাপত্তা বাহিনীকে চীনা মুসলমানদের কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে গণবন্দীর কাজে ব্যবহার করছে। শিবিরে আটক মুসলমানদের সংখ্যা ‘প্রায় ৩০ লাখ’ বলেও জানিয়েছেন তিনি। সহকারি প্রতিরক্ষামন্ত্রী  স্কিরিভার উইঘুর মুসলমানদের ওপর চীনা সরকারের এই নির্যাতনকে ‘নাৎসি জার্মানির’ সঙ্গে তুলনীয় বলে মন্তব্য করেছেন। এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আটক বন্দীর সংখ্যার ব্যাপকতা বোঝাতে তিনি এটি ব্যবহার করেছেন। যেখানে ১ কোটি জনগোষ্ঠীর মধ্যে অন্তত ১০ লাখ তবে প্রায় ৩০ লাখ লোককে বন্দী করে রাখা হয়েছে সেখানে ব্যাপকতা বোঝাতে এটি যথার্থ অর্থে বলা হয়েছে। রাইজিংবিডি/ঢাকা/৪ মে ২০১৯/শাহেদ