আন্তর্জাতিক

‘ওমান উপসাগরে ট্যাংকারে হামলায় ইরান দায়ী’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ওমান উপসাগরে রাসায়নিকবাহী জাপানি ট্যাংকার থেকে ইরানের বিপ্লবী বাহিনীর অবিস্ফোরিত মাইন অপসারণের ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে মার্কিন সেনাবাহিনী। এর আট ঘন্টা আগে ওই ট্যাংকারে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। মার্কিন সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, এটাই প্রমাণ করে ইরান উপসাগরে ট্যাংকারে হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। বৃহস্পতিবার ওমান উপসাগরে দুটি ট্যাংকারে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এর একটি ছিল রাসায়নিকবাহী জাপানের মালিকানাধীন কোকুকা কোরাজাস। অপরটি নরওয়ের মালিকানাধীন ফ্রন্ট আলটেয়ার। বিস্ফোরণের পরপর দুটি ট্যাংকার থেকে ক্রুদের উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। আকাশ থেকে ধারণ করা ঝাপসা সাদাকালো ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, কোকুকা কোরাজাস ট্যাংকারের পাশে ছোট্ট একটি সামরিক নৌযান ভেড়ানো রয়েছে। নৌযান থেকে কেউ একজন দাঁড়িয়ে ট্যাংকার থেকে কিছু একটা খুলে নিচ্ছে। মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই ছোট্ট নৌযানটি ইরানের বিপ্লবী বাহিনীর টহল যান ছিল। ট্যাংকারে বিস্ফোরণের পর যে বস্তুটি তারা খুলে নিয়েছিল তা ছিল অবিস্ফোরিত লিম্পেট মাইন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও  এ ঘটনার জন্য ইরানকে দায়ী করেছেন।  তিনি বলেছেন, ‘ওমান উপসাগরে যে হামলা হয়েছে সে বিষয়ে মার্কিন সরকারের মূল্যায়ন হচ্ছে- এর জন্য ইরান দায়ী।’ ইরান অবশ্য এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের মিশনের মুখপাত্র আলিরেজা মিরইউসেফি এক টুইটে বলেছেন, ‘ইরান দৃঢ়ভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভিত্তিহীন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করছে।’ ইরান সর্বোতভাবে এই হামলার নিন্দা জানায় বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, গত মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাত উপকূলে কয়েকটি তেলবাহী ট্যাংকারে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের শিকার ট্যাংকারগুলোর মধ্যে দুটি ছিল সৌদি আরবের মালিকানাধীন। ওই ঘটনার জন্যও ইরানকে দায়ী করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। রাইজিংবিডি/ঢাকা/ ১৪ জুন ২০১৯/শাহেদ