আন্তর্জাতিক

‘মার্কিন ড্রোনে হামলা চালিয়েছে ইরান’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ওমান উপসাগরে দুটি ট্যাংকারে বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা আগে একটি মার্কিন ড্রোন লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল ইরান। এক মার্কিন কর্মকর্তা সিএনএনকে এ তথ্য জানিয়েছেন। ওই কর্মকর্তা জানান, ক্ষেপণাস্ত্রটি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারেনি এবং এটি পানিতে পড়ে যায়। তিনি আরো জানান, আমেরিকান এমকিউ-৯ ড্রোনটি হামলার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত ট্যাংকারের কাছাকাছি ইরানি নৌযানের গোপনে ভেড়ার দৃশ্যটি ধারণ করছিল। অবশ্য ট্যাংকার দুটিতে ‘হামলা’র দৃশ্য ড্রোনটি রেকর্ড করতে পেরেছিল কিনা ওই কর্মকর্তা তা জানান নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ট্যাংকারে হামলার কয়েক দিন আগে লোহিত সাগরে আরেকটি মার্কিন ড্রোনে হামলা চালিয়ে সেটি ধ্বংস করা হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে এই হামলা চালিয়েছিল। বৃহস্পতিবার ওমান উপসাগরে দুটি ট্যাংকারে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এর একটি ছিল রাসায়নিকবাহী জাপানের মালিকানাধীন কোকুকা কোরাজাস। অপরটি নরওয়ের মালিকানাধীন ফ্রন্ট আলটেয়ার। বিস্ফোরণের পরপর দুটি ট্যাংকার থেকে ক্রুদের উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ইরানই এই হামলা চালিয়েছে। এর সমর্থনে শুক্রবার মার্কিন সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে আকাশ থেকে ধারন করা একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করা হয়। এতে দেখা যায়, ওমান উপসাগরে রাসায়নিকবাহী জাপানি ট্যাংকার থেকে একটি সামরিক নৌযান গোপনে অবিস্ফোরিত মাইন অপসারণ করছে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, এই নৌযানটি ছিল ইরানের বিপ্লবী বাহিনীর। তেহরান অবশ্য এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানি মিশনের মুখপাত্র আলিরেজা মিরইউসেফি এক টুইটে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ভিত্তিহীন অভিযোগ ইরান দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছে।’ এদিকে শুক্রবার ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প ইরানের দাবিকে নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি সাফ জানিয়েছেন, ইরানই ট্যাংকারে হামলা চালিয়েছে। ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমার ধারণা, মাইন বিস্ফোরিত হয়নি এবং সম্ভবত এর গায়ে ইরানের নাম লেখা ছিল। আপনারা দেখেছেন নৌযানটি রাতের বেলা মাইন খুলে নেওয়ার চেষ্টা করেছে এবং এটি সরিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে যার তথ্য ফাঁস হয়ে গেছে।’ রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ জুন ২০১৯/শাহেদ/শাহনেওয়াজ