আন্তর্জাতিক

‘প্রতিশোধ নিতেই ব্রিটিশ ট্যাংকার আটক করেছে ইরান’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রতিশোধ নিতেই যুক্তরাজ্যের মালিকানাধীন তেলবাহী ট্যাংকার ইরান আটক করেছে বলে দাবি করেছে লন্ডন। শনিবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে আলোচনার পর ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরিমি হান্ট এ দাবি করেছেন।

হান্ট বলেছেন, জাহাজ আটকের ব্যাপারে ইরানের দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে ‘ইটের বদলে পাটকেল অবস্থা’।

পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিটেনের মূল্যায়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সংকট থেকে উত্তরণের উপায় খুঁজে পাওয়ার ওপর আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।’

দুই সপ্তাহ আগে জিব্রাল্টার প্রণালি থেকে ইরানের একটি ট্যাংকার আটক করেছিল ব্রিটেন। সিরিয়ার নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের অভিযোগে ওই ট্যাংকারটিকে আটক করা হয়।

এদিকে রোববার ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী টোবিয়াস এলউড বলেছেন, জাহাজ আটকের প্রতিক্রিয়ায় ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।

ইরানের একটি মাছধরার নৌকার সঙ্গে সংঘর্ষের পর শুক্রবার স্টেনা ইমপেরিও নামের একটি ব্রিটিশ ট্যাংকারকে আটক করে করে দেশটির রেভ্যুলুশনারি গার্ড। আটকের পর ওই নৌযানটিকে পরে ইরানি সমুদ্রবন্দর বন্দর আব্বাসে নিয়ে যাওয়া হয়। সংঘর্ষের ঘটনার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্টেনা ইমপেরিওকে আটক রাখা হবে বলেও জানিয়েছে ইরান।

পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে চিঠি পাঠিয়েছে ব্রিটেন। এতে বলা হয়েছে, ‘বর্তমান উত্তেজনা পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগের এবং আমাদের কাছে উত্তরণ হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ইরানের সঙ্গে মোকাবেলায় যেতে চাই না।’

অপরদিকে, ট্যাংকার জব্দের ঘটনায় যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূতকে তলবও করেছে লন্ডন। রাষ্ট্রদূত হামিদ বেইদিনেজাদ পরে এক টুইটে বলেছেন, ‘এটা এই অঞ্চলে স্পর্শকাতর সময়ে বেশ বিপজ্জনক ও অবিচক্ষণ মুহূর্ত। তবে ইরান দৃঢ় আছে এবং ভিন্ন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত।’ রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ জুলাই ২০১৯/শাহেদ