আন্তর্জাতিক

কাশ্মীর নিয়ে নিশ্চুপ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নাগরিক স্বাধীনতা ও মানবাধিকার পরিস্থিতিতে উদ্বেগ জানানো ছাড়া জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একেবারেই নীরব ভূমিকায় অবস্থান নিয়েছে। পশ্চিমাদের মধ্যে স্রেফ যুক্তরাষ্ট্র উদ্বেগ প্রকাশ করলেও মুসলিম বিশ্বের অবস্থান একেবারেই মৃতবৎ।

টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, গত ৫ আগস্ট কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর ভারতের এই সাংবিধানিক পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ করে কোনো দেশই এখন পর্যন্ত মন্তব্য করেনি। অবস্থাদৃষ্টে বোঝা যাচ্ছে, কাশ্মীর ইস্যুতে নয়া দিল্লির অবস্থানকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলেই মেনে নিয়েছে সবাই।

বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা কাশ্মীরের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও নাগরিক স্বাধীনতা সীমিতকরন ও নিরাপত্তা বাহিনীর  ব্যাপক সদস্য মোতায়েনে উদ্বিগ্ন। তবে ভারতের সাংবিধানিক পদক্ষেপ নিয়ে তারা কোনো মন্তব্য করেনি।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে,‘আঞ্চলিক মর্যাদা এবং জম্মু ও কাশ্মীরের শাসন নিয়ে ভারতের নতুন আইনি পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্র নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা বৃদ্ধির সম্ভাবনাসহ এর বিস্তৃত প্রভাব আমরা নথিবদ্ধ করছি। যুক্তরাষ্ট্র সব পক্ষকে শান্ত ও সংযত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।’

কাশ্মীর নিয়ে ভারতের পদক্ষেপের পরের দিনই পাকিস্তান পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিলে যুক্তরাষ্ট্র ইসলামাবাদকে বরং সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে। নিয়ন্ত্রণ রেখায় যাতে কোনো ধরণের সামরিক উত্তেজনা ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য সংযত থাকতে বলা হয়েছে পাকিস্তানকে।

কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের মিত্র চীনের ভূমিকাও নীরব। লাদাখের একটি বড় অংশ চীনের নিজের অংশ বলে দাবি করলেও ৬ আগস্ট ভারতের পদক্ষেপের পর কোনো মন্তব্য করে নি চীন।

এদিক মুসলিম বিশ্বের সংগঠন ওআইসিও কাশ্মীর নিয়ে ভারতের পদক্ষেপের পর কোনো মন্তব্য করে নি। গত ৪ আগস্ট কাশ্মীরে যখন অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করছিল ভারত তখন সংস্থার পক্ষ থেকে স্রেফ নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে একটি বিৃবতি দেওয়া হয়েছিল। কাশ্মীরের ‘বিশেষ মর্যাদা’ বাতিলের পর ওআইসি কিংবা পাকিস্তান ছাড়া কোনো মুসলিম দেশ এককভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য বা নিন্দা প্রকাশ করে নি।

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৯ আগস্ট ২০১৯/শাহেদ