আন্তর্জাতিক

ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: কী বলছে বিশ্বের গণমাধ্যমগুলো

ইরানে হামলার পর বিশ্বের গণমাধ্যমগুলো এক ধরনের ধোঁয়াশার মধ্যে পড়েছে৷ এই হামলায় আসলে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিয়ে বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যম বিভিন্ন তথ্য দিচ্ছে৷

বুধবার ইরাকের সময় অনুযায়ী রাত একটা ৪৫ থেকে ২টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে ইরান এই হামলা চালিয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ইরাকের সামরিক বাহিনী৷

ইরানের তেহরান টাইমস এই সংবাদটি প্রকাশ করেছে ইরানিয়ান রিভল্যুশনারি গার্ডের বরাত দিয়ে৷ সেখানে বলা হয়েছে, মিসাইল হামলায় ৮০ জনের বেশি মার্কিন সৈন্য নিহত হয়েছে৷ গণমাধ্যমটির খবরে রিভল্যুশনারি গার্ডের বিবৃতি উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ‘মাঠে আমাদের সূত্রের নির্ভরযোগ্য প্রতিবেদন অনুযায়ী কমপক্ষে ৮০ মার্কিন সৈন্য নিহত এবং আরো ২০০ আহত হয়েছে৷ তাদেরকে তাৎক্ষণিকভাবে বিমানঘাঁটি থেকে হেলিকপ্টারযোগে স্থানান্তর করা হয়েছে৷’ হামলাটি ঘটেছে পশ্চিম ইরাকের আইন আল আসাদ বিমান ঘাঁটিতে৷

তেহরান টাইমস বলছে, ঘাঁটিটির ২০টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে এই হামলা চালানো হয়৷ এতে হতাহতের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ড্রোন এবং হেলিকপ্টার ধ্বংস হয়৷ বাগদাদে কাসেম সোলেইমানি হত্যার প্রতিশোধ হিসেবেই এই হামলা চালানো হয়েছে৷ হোয়াইট হাউস যদি আরেকটি ভুল করে তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের ১০৪ টি গুরুত্বপূর্ণ টার্গেটে হামলা চালাতে পারে ইরান, উল্লেখ করা হয়েছে তাদের প্রতিবেদনে৷

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক টাইমস অনলাইনে শিরোনাম করেছে, ইরাকে মার্কিন বাহিনীর ওপর এক ডজনের বেশি মিসাইল হামলা চালিয়েছে ইরান৷ তারা প্রতিবেদনে বলেছে, মোট দুইটি ঘাঁটিতে হামলার ঘটনা ঘটে৷ যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সূত্র দিয়ে জানিয়েছে সেখানে কোনো মার্কিন সৈন্য হতাহত হয়নি৷ ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভাদ জারিফের টুইটও উল্লেখ করেছে তারা৷ তিনি বলেছেন, ‘ইরান আত্মরক্ষার্থে সমুচিত প্রতিশোধ নিয়েছে৷ আমরা কোনো যুদ্ধ চাই না কিন্তু যেকোনো আক্রমণ আমরা প্রতিরোধ করব৷’

সিএনএন তাদের ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে খবরের আপডেট দিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত৷ হামলার কারণে কোনো হতাহত হয়নি বলে মার্কিন আর ইরাকি সূত্র দিয়ে দাবি করেছে তারাও৷ মার্কিন সামরিক সূত্র তাদেরকে জানিয়েছে, মিসাইল হামলা শুরুর বেশ আগেই সৈন্যদের নিরাপদে আশ্রয় সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল৷

বিবিসি তাদের সংবাদ শিরোনাম করেছে, ব্যালাস্টিক মিসাইল হামলার শিকার হয়েছে মার্কিন বাহিনী৷ কোনো হতাহত হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করেছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমটি৷

আপডেট খবর প্রকাশ করছে কাতারভিত্তিক আলজাজিরাও৷ হামলার খবরটি পেন্টাগন নিশ্চিত করেছে বলে উল্লেখ করেছে তারা৷ তাদের মূল খবরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়াও রয়েছে৷ নেতানিয়াহু বলেন, ইসরায়েলে কেউ যদি হামলা চালায় তাহলে তার শক্তিশালী জবাব দেয়া হবে৷ দেশটি ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের পাশে থাকবে বলেও জানান তিনি৷

সৌদি গেজেটের অনলাইনে ইরানের হামলা নিয়ে এখনও কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়নি৷ শীর্ষে রয়েছে দেশটির কাউন্সিল অব মিনিস্টার্সের সাপ্তাহিক বৈঠকের এক খবর৷ যেখানে এই অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করে এমন কর্মকাণ্ড প্রতিহত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে৷ সূত্র: ডয়চে ভেলে। ঢাকা/সাইফ