ধনী হলে স্বাস্থ্যকর জীবনের ঝুলিতে ৯ বছর যোগ হয়। জীবনের এই কয়টি বছর কাটে শারীরিকভাবে সক্ষম ও ব্যথামুক্তভাবে।
ইউনিভার্সিটি কলেজ অব লন্ডনের এক নতুন গবেষণায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে ১০ বছর ধরে এই গবেষণাটি চালানো হয়েছে। বয়স বাড়লে মানুষ কেন শারীরিকভাবে দুর্বল হতে শুরু করে জানতে গবেষণায় সব ধরণের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উপাদান বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
গবেষণায় অংশ নেওয়া উভয় দেশের মানুষদের দুটি শ্রেনিতে ভাগ করা হয়েছে। একটি শ্রেণিতে ছিল সবচেয়ে ধনীরা এবং অপরটিতে ছিল সবচেয়ে কম সম্পদের মানুষরা।
এতে দেখা গেছে, দরিদ্র শ্রেণির তুলনায় যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের ধনীরা ৩১ বছর অতিরিক্ত স্বাস্থ্যকর জীবন পায়। দরিদ্রদের বেলায় এই সংখ্যা ২২ থেকে ২৩ বছর।
ইউনিভার্সিটি কলেজ অব লন্ডনের এপিডমিওলজি অ্যান্ড হেলথকেয়ারের অধ্যাপক ডা. পাওলা জানিনোত্তো বলেন, ‘আমরা দেখেছি যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে সব বয়সে শারীরিক অক্ষমতামুক্ত প্রত্যাশিত জীবনে সামাজিক-অর্থনৈতিক বৈষম্য রয়েছে। তবে দুই দেশেই সব বয়সের লোকদের সবচেয়ে বড় সামাজিক-অর্থনৈতিক সুবিধা হচ্ছে সম্পদ।
দ্য ইংলিশ লঙ্গিচুডিনাল স্টাডি অব এজিং এবং ইউএস হেলথ অ্যান্ড রিটায়ারমেন্ট স্টাডি জানিয়েছে, প্রত্যাশিত জীবন স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে একটি প্রয়োজনীয় নির্দেশক। একইসঙ্গে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের স্বাস্থ্য নির্ধারনে জীবনযাত্রার মানও গুরুত্বপূর্ণ।
ডা. পাওলা জানিনোত্তো বলেন, ‘স্বাস্থ্যকর প্রত্যাশিত জীবন পরিমাপের মাধ্যমে আমরা কত বছর সুস্বাস্থ্যকর জীবন কিংবা অক্ষমতামুক্ত জীবন অতিবাহিত করেছি সেই সংখ্যা আমরা পেতে পারি।
ঢাকা/শাহেদ