আন্তর্জাতিক

এবার শান্তিনিকেতনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা

দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) পর এবার শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপরও  হামলার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার রাতে ক্যাম্পাসে ঢুকে শিক্ষার্থীদের পেটানোর অভিযোগ উঠেছে ক্ষমতাসীন বিজেপির ছাত্রসংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (এবিভিপি)বিরুদ্ধে।

আনন্দবাজার অনলাইন জানিয়েছে, শুধু ক্যাম্পাসেই নয়, হামলাকারীরা হাসপাতালে ঢুকেও বাম ছাত্রদের মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এবিভিপি অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলছে, অভিযুক্তরা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিল। তৃণমূল পাল্টা দাবি করেছে হামলায় জড়িতরা এবিভিপির সদস্য।

ছাত্রদের একাংশ আবার অভিযোগের আঙুল তুলছেন উপাচার্যের দিকে। তাদের মতে,  অভিযুক্তরা উপাচার্যের ছায়াসঙ্গী,  যা হয়েছে তাতে মদত রয়েছে উপাচার্যেরই। ক্যাম্পাসে এনআরসির সমর্থনে হওয়া সভার বিরোধিতারই মাশুলই দিতে হচ্ছে বামছাত্রদের।

বুধবার রাতে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একাধিক পোস্টে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যাভবন সিনিয়র বয়েজ় হোস্টেলে ঢুকে অন্তত দু’জন ছাত্রকে বেধড়ক মারধর করে বহিরাগতরা। রাতেই হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় তাদের। সেখান থেকেও ভিডিও পোস্ট করে এক ছাত্র দাবি করেন,  রড-উইকেট-কাঠের তক্তা দিয়ে প্রথমে পূর্বপল্লির রাস্তায় এবং পরে হস্টেলে ঢুকে তাদের মারা হয়েছে।

বিশ্বভারতীর পিয়ার্সন মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে স্বপ্ননীল মুখোপাধ্যায় ও শুভ নাথ নামের দুই ছাত্রকে। ক্যাম্পাসে এই ঘটনা ঘটিয়ে হাসপাতালেও এই দুই ছাত্রকে মারতে যায় হামলাকারীরা। হামলা ঠেকাতে হাসপাতালের মূল গেটে তালা দেয় কর্তৃপক্ষ।

হামলার জড়িতদের মধ্যে রয়েছে অচিন্ত্য বাগদি, সাবির আলি ও সুলভ কর্মকার। বেশ কয়েকটি ভিডিওতেই তাদের দেখা গেছে।

বিশ্বভারতীর শিক্ষার্থীদের অনেকেই বলছেন, এদেরকে শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের পতাকা হাতেই দেখা গিয়েছে শেষ কয়েক বছর। কেউ আবার বলছেন, উপাচার্য ঘনিষ্ঠতাই এদের সবচেয়ে বড় পরিচয়। যা হয়েছে তার দায় উপাচার্যেরই।

সঙ্গীতভবনের ছাত্রী  মৌমিতা চক্রবর্তীর বলেন, ‘অভিযুক্তরা ক্যাম্পাসের পরিচিত মুখ। তারা আগে তৃণমূল করত, কিন্তু এখন এবিভিপিতে নাম লিখিয়েছে। যা হয়েছে তা উপাচার্যের প্ররোচনাতেই হয়েছে।’

রাতে হামলার খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তপ্ত হতে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। বৃহস্পতিবার সকালে ক্যাম্পাসে জমায়েত হন শিক্ষার্থীরা। উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেছেন তারা।

 

ঢাকা/শাহেদ