আন্তর্জাতিক

জাহাজটি অবশেষে বন্দর পেলো

দুই হাজারের বেশি যাত্রীসহ 'দ্য ওডিসি অব দ্যা এমএস ওয়েস্টারড্যাম' প্রমোদতরীকে অবশেষে কম্বোডিয়ার বন্দরে ভিড়তে দেয়া হয়েছে।

জাহাজটি দিনের পর দিন সাগরে ভাসছিল। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে দিতে পারে সন্দেহে থাইল্যান্ড, জাপান, তাইওয়ান, গুয়াম ও ফিলিপাইনের কোনো বন্দরই জাহাজটিকে ভিড়তে দিচ্ছিল না।

কিন্তু দেখা গেছে, ওয়েস্ট্যারড্যামের এক হাজার চারশ ৫৫ যাত্রী এবং আটশ ২ জন ক্রুর কেউই সংক্রমিত হননি। তবুও বুধবার প্রমোদতরীটি ব্যাংককের বন্দরে ভিড়তে গেলেও এটিকে অনুমতি দেয়া হয়নি।

পরে থাইল্যান্ডের নৌবাহিনীর একটি জাহাজ এটিকে এসকর্ট করে নিয়ে যায় এবং থাই উপসাগরে দিয়ে আসে। পরে জাহাজটি দিক বদল করে কম্বোডিয়ার দিকে ধাবিত হয়।

বৃহস্পতিবার সকালে জাহাজটি অবশেষে কম্বোডিয়ার সিহানুকভিল বন্দরে নোঙর করে।

আমেরিকান নাগরিক অ্যাঞ্জেলা জোনস বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা কতবার ভেবেছি, এই বুঝি বাড়ি যেতে পারবো, আর সেইসব মুহূর্তে আমাদের ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।’

"আজকের সকালটাতে যখন ডাঙার দেখা পেলাম, সেটা ছিল একটি শ্বাসরুদ্ধকর মুহূর্ত। আমি অবাক ভাবছিলাম, এটা কি সত্যি!" বলছিলেন তিনি।

জাহাজের ক্যাপ্টেন ভিনসেন্ট স্মিট বলেছেন, জাহাজটিকে সিহানুকভিলের বাইরে নোঙর করা হয়েছে যাতে কর্তৃপক্ষ আগে জাহাজটির যাত্রী ও ক্রুদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে পারে। এরপরই রাজধানী নমপেন হয়ে নিজ নিজ দেশে ফিরে যেতে পারবে যাত্রীরা।

কম্বোডিয়ার মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, তারা জাহাজের মার্কিন নাগরিকদের সাহায্য করতে একটি প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে।

জাহাজটিকে আশ্রয় দেয়ার সিদ্ধান্তের জন্য কম্বোডিয়ার প্রশংসা করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান।

আমেরিকাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হল্যান্ড আমেরিকা লাইন পরিচালনা করে দ্য ওয়েস্টারড্যামকে। এটি গত ১  ফেব্রুয়ারি হংকং থেকে যাত্রা শুরু করে। দুই সপ্তাহ সাগরে প্রমোদবিহার করার কথা ছিল জাহাজটির।

১৪ দিনের এই বিহার শেষ হয়ে যাওয়ায় জ্বালানী ও খাদ্য সঙ্কট দেখা দেয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।

অন্যদিকে, জাপানের ইয়োকোহামায় নোঙর করা 'দ্য ডায়মন্ড প্রিন্সেস' নামের প্রমোদতরীটিকে কোয়ারেন্টিন করে রাখা হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত ২০০ সংক্রমিত ব্যক্তি পাওয়া গেছে। এর ফলে চীনের বাইরে সবচাইতে বৃহত্তম করোনাভাইরাস আক্রান্ত স্থানে পরিণত হয়েছে ওই প্রমোদতরীটি।

এর আগে হংকং থেকে ছাড়া আরেকটি প্রমোদতরীকেও কয়েকদিন ধরে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছিল। কারণ ওই জাহাজের এক যাত্রী করোনাভাইরাস সংক্রমিত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল। এখন অবশ্য সেই জাহাজের সব যাত্রীকেই নামতে দেয়া হয়েছে। ঢাকা/জেনিস