আন্তর্জাতিক

করোনাভাইরাস : কঠোর অবস্থানে বিভিন্ন দেশ

বিশ্বের ১৫৬টি দেশ ও অঞ্চলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ৬২ হাজার ২০১ জন মানুষ। আর মারা গেছেন পাঁচ হাজার ৯৭৪ জন।

করোনাভাইরাসের উৎসভূমি চীনে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কমলেও প্রতিদিন নতুন নতুন দেশে ভাইরাস আক্রান্তের সন্ধান মিলছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় দেশগুলোতে আক্রান্তের সংখ্যা ঘন্টায় ঘন্টায় বাড়ছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় এসব দেশ নাগরিকদের চলাচলে নিয়ন্ত্রণসহ কিছু কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে এক সপ্তাহের ব্যবধানে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা তিন হাজার ৪৬ জনে গিয়ে ঠেকেছে। আর মারা গেছে ৬০ জন। পরিস্থিতি মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রে জরুরি অবস্থা জারি করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। শুক্রবার মধ্যরাত থেকে পরবর্তী ৩০ দিন ইউরোপের ২৬টি দেশের নাগরিকদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। শনিবার ব্রিটেন ও আয়ারল্যান্ডের নাগরিকদের ওপরও এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন।

শনিবার ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এদুয়ার্দ ফিলিপ দেশটিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় রেঁস্তোরা ও ক্যাফেসহ অত্যাবশ্যক নয় এমন জনসমাগমপূর্ণ স্থানগুলো বন্ধ ঘোষণা করেছেন। ইতালির পর ইউরোপের আরেক দেশ স্পেনে দ্রুত বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। দেশটিতে গত কয়েক দিনে সাত হাজার ৭৫৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ২০৮ জন। পরিস্থিতি মোকাবেলায় জরুরি অবস্থা ঘোষণার পাশাপাশি নাগরিকদের বাড়ি থেকে বের হওয়ার ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। ফিলিপাইনে ২৪ ঘন্টায় ২৯  জন আক্রান্ত হয়েছে। রাজধানী ম্যানিলার একটি অংশ আংশিক অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

ব্রিটেনে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে কেউ আক্রান্ত না হলেও দেশটিতে করোভাইরাসে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত এক হাজার ১৪০ জন ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন।  বড় জনসমাগমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির পাশাপাশি ৭০ বছরের বেশি বয়সী মানুষদের চার মাসের জন্য আইসোলেশনে রাখার পরিকল্পনা করছে লন্ডন। অস্ট্রিয়া সব ধরনের খেলাধুলা, রেঁস্তোরা, জনসমাবেশ বন্ধের কঠোর নির্দেশনা জারির পাশাপাশি নাগরিকদের বাড়ির মধ্যে অবস্থানের আহ্বান জানিয়েছে। ঢাকা/শাহেদ