আন্তর্জাতিক

করোনা: কিছু মন ভালো করা খবর

বেড়েই চলছে করোনাভাইরাস সংক্রমণ। এর মধ্যে ইতিবাচক বা মন ভালো করার মতো খবর পাওয়া কঠিন। কিন্তু ভালো খবর যে একেবারেই নেই তা নয়।

রোববার (২৯ মার্চ) বিবিসিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনের সৌজন্যে এরকম কিছু খবর এখানে তুলে ধরা হলো—

বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি হচ্ছে: সারা বিশ্ব তাকিয়ে আছে বৈজ্ঞানিকদের দিকে, কবে তারা করোনাভাইরাসের একটি টিকা তৈরি করবেন। আসলে একটি নয়, বেশকিছু টিকা তৈরি হচ্ছে।  অবশ্য টিকা তৈরি হতে সময় লাগে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এক বছর থেকে ১৮ মাস সময়ের আগে এই টিকা প্রস্তুত হবে না।

তবে যেহেতু বিজ্ঞানীরা দ্রুত কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তাই ভাইরাস সম্পর্কে আরো নতুন নতুন তথ্য জানা যাচ্ছে। যেমন এ সপ্তাহেই কোভিড নাইনটিনের জেনেটিক কোড সম্পর্কিত এক গবেষণায় জানা গেছে যে, এই সার্স-কোভ-টু ভাইরাস নতুন হোস্টের দেহে প্রবেশ করলে খুব কমসংখ্যক মিউটেশন হয়।

তা যদি ঠিক হয় তাহলে একটি মাত্র টিকা দিয়েই একজন মানুষের দেহে দীর্ঘদিনের জন্য রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে দেওয়া যাবে। এটা টিকা প্রস্তুতকারকদের জন্য ভালো খবর, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

চীন বিধিনিষেধ শিথিল করছে: অন্তত এখনকার মতো চীন বিশ্বাস করছে যে, করোনাভাইরাস সংক্রমণজনিত জরুরি অবস্থাকে তারা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নিয়ে এসেছে।  স্থানীয়ভাবে হওয়া সংক্রমণ এখন খুবই কম। নতুন যারা আক্রান্ত হচ্ছেন, তারা বেশিরভাগই বিদেশ থেকে আসা।

ফলে চীনে রোগ ছড়ানো ঠেকাতে যেসব বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল তা এখন শিথিল করা হচ্ছে।

চীনের যে উহান শহর থেকে করোনাভাইরাস মহামারির সূচনা হয়েছিল—সেই শহরটি দুই মাসেরও বেশি সময় অবরুদ্ধ রাখার পর আংশিকভাবে খুলে দেওয়া হয়েছে।  উহান শহর পুরোপুরি খুলে দেওয়া হবে আগামী ৮ এপ্রিল।

চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে মানুষ এখন মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে পারছে।  অবশ্য নতুন করে সংক্রমণ শুরু হবার সম্ভাবনা এখনো আছে—কিন্তু চীন চেষ্টা করছে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে।

ইতালি ও স্পেনেও মোড় ঘুরতে শুরু করেছে: গত চারদিন ধরেই ইতালিতে নতুন সংক্রমণ এবং মৃত্যুর সংখ্যা—দুটোই কমছে।

ইতালির ডেপুটি স্বাস্থ্যমন্ত্রী পিয়েরপাওলো সিলেরি বলেন, আগামী  ১০ দিনের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে বলে তিনি আশা করেন।

বুধবার নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৬১২ জন, যা গত চার দিনের তুলনায় কম। এরপর বৃহস্পতিবার সংখ্যা আবার বেড়েছে কিন্তু শুক্রবার চিত্রটা ছিল মিশ্র।  এটাকে একটা আশাপ্রদ চিত্র বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

স্পেনের কর্মকর্তারা বলছেন, তারা মনে করেন যে এ দুটি দেশে সংক্রমণ এখন সর্বচ্চ স্তরে পৌঁছেছে বা এর খুব কাছাকাছি চলে এসেছে।

স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রশংসিত হচ্ছেন: করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সামনের কাতারে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ডাক্তার, নার্স এবং অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা।

আমেরিকার জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় বলছে, সারা পৃথিবীর ৫ লক্ষ আক্রান্তের মধ্যে ১ লক্ষ ৩০ হাজারের মতো লোক সেরে উঠেছেন।

অনেক দেশেই সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যখাতে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যোগ দিচ্ছেন - যা পেশাদার স্বাস্থ্যকর্মীদের অভিভূত করেছে। সাইফ/নাসিম