আন্তর্জাতিক

দিল্লিতে তাবলিগের মারকাজে যাওয়া ৭ জনের করোনায় মৃত্যু

তাবলিগ জামাতের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ভারতের দিল্লির নিজামউদ্দিন মসজিদে ইজতেমায় যোগ দেওয়া সাত জনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে। মঙ্গলবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো এ তথ্য জানিয়েছে।

গত ২২ মার্চ থেকে ভারতজুড়ে ‘জনতা কার্ফু’ পালন শুরু হয়। এর দুদিন পর সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা হয়।  এরপরও দিল্লির নিজামউদ্দিন মসজিদে ছিলেন বিদেশিসহ তাবলিগ জামাতের প্রায় দুই হাজার সাথী। শতাধিক মুসল্লি শয়ে শয়ে দেশ-বিদেশি মানুষ। পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাদের এলাকায় চলে যান এবং বিদেশিদের তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়।

এনডিটিভি জানিয়েছে, সোমবার ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে তাবলিগের এই সাথীদের মধ্যে অন্তত ২০০ জনের শরীরের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা সংক্রমণ হয়েছে কিনা জানতে পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়। ইতোমধ্যেই ২৪ জনের শরীরে ওই সংক্রমণ হয়েছে বলে প্রমাণও মিলেছে। মঙ্গলবার দিল্লি ও অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আরও ৩৫ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তাবলিগের এই ইজতেমার কারণে ভারতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ভয়াবহ আকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।

আনন্দবাজার অনলাইন জানিয়েছে, ইজতেমা থেকে ফেরার পর তেলঙ্গানায় ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরে মৃত্যু হয়েছে আরও এক জনের। আন্দামান নিকোবরে ফিরে যাওয়া ১০ জনের করোনা সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ছাড়া দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি দেশ-বিদেশের কয়েকশ মানুষ।

সোমবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল ওই মসজিদ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছেন। যদিও মসজিদ কর্তৃপক্ষের দাবি, আগে দিল্লিতে এবং পরে ভারতজুড়ে লকডাউনের কারণে ইজতেমার পরে গন্তব্যে ফিরতে পারেননি অতিথিরা। এ কারণে তারা মসজিদে ছিলেন।

মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে নিজামউদ্দিন মসজিদে ইজতেমার ডাক দিয়েছিল তবলিগ জামাত। তাতে দেশ-বিদেশের কয়েক হাজার মানুষ ছিলেন। মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব, থাইল্যান্ড, নেপাল, মিয়ানমার, বাংলাদেশ, কিরঘিজস্তান, আফগানিস্তান, আলজিরিয়া, শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, কুয়েত থেকে প্রতিনিধিরা এসেছিলেন। ইজতেমা শেষে তারা দেশের বিভিন্ন রাজ্যে গিয়েছিলেন। এদের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার প্রতিনিধিরা গিয়েছিলেন তেলঙ্গানায়। এখন এই বিপুল সংখ্যক মানুষ কোথায় কোথায় গিয়েছেন, কাদের সংস্পর্শে এসেছেন, তাদের খুঁজে বের করাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে কেন্দ্র তথা রাজ্য সরকারগুলোর কাছে।

 

ঢাকা/শাহেদ