আন্তর্জাতিক

মোদির টুইটার আনফলোর কারণ জানালো হোয়াইট হাউজ

টুইটারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোভিন্দকে হোয়াইট হাউজ আনফলো করার পর ভারতের সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় উঠেছিল। বিষয়টি ভালো চোখে দেখেননি বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধীও। ঘটনার তীব্রতা বুঝতে পেরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা স্পষ্ট করলেন, কেন দ্য হোয়াইট হাউজ অফিসিয়াল টুইটার ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতিকে আনফলো করেছে।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এক প্রতিবেদনে হোয়াইটহাউজের প্রতিক্রিয়ার খবর জানিয়েছে। হোয়াইট হাউজের ব্যাখ্যা, প্রেসিডেন্ট বিদেশ সফরে গেলে সেই দেশের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিদের টুইটার অ্যাকাউন্ট সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য ফলো করে যেন সফরের ব্যাপারে তাদের বার্তা রিটুইট করা যায়।

গত ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে ট্রাম্প ভারত সফরে যায়। তখন ভারতের প্রেসিডেন্ট রাম নাথ কোভিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, যুক্তরাষ্ট্রের ভারতীয় দূতাবাস, ভারতের আমেরিকান দূতাবাস, ভারতে নিযুক্ত আমেরিকান রাষ্ট্রদূত কেন জাস্টারের টুইটার ফলোয়িং দেওয়ার কথা জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ।

তবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ১৮ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, তিন সপ্তাহ আগে ১০ এপ্রিল ভারতের এই অ্যাকাউন্টগুলো ফলোয়িং শুরু করেছিল হোয়াইট হাউজ। এই সময়ের মধ্যেই করোনার চিকিৎসায় ট্রাম্পের হুমকিতে ম্যালেরিয়া রোগের ওষুধ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন রফতানির নিষেধাজ্ঞা বাতিল করে ভারত সরকার।

উর্ধ্বতন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম লিখেছে, ‘সাধারণত মার্কিন সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের টুইটার অ্যাকাউন্ট ফলো করে দ্য হোয়াইট হাউজ টুইটার অ্যাকাউন্ট এবং প্রয়োজনের ক্ষেত্রে অন্যদেরটা। যেমন রাষ্ট্রপতির কোনো সফরের সময়, তখন কোনো অ্যাকাউন্ট অল্প সময়ের জন্য ফলো করা হয় যেন তাদের সফরের ব্যাপারে বার্তা রিটুইট করতে পারে স্বাগতিক দেশ।’

টুইটার থেকে দুই শীর্ষ ব্যক্তিকে হঠাৎ করে হোয়াইট হাউজ আনফলো করায় কংগ্রেসের অন্যতম শীর্ষ নেতা রাহুল টুইট করেছেন, ‘আমাদের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীকে হোয়াইট হাউজ আনফলোয়িং করায় আমি হতাশ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি নোট করে রাখার আহ্বান করছি।’ ঢাকা/ফাহিম