আন্তর্জাতিক

বিছানাই যখন কফিন

প্রতিদিনই বাড়ছে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা। এতো লাশের দাফন করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলোতে। কফিন সরবরাহ করাই মুশকিল হয়ে পড়েছে তাদের পক্ষে। তাই কলম্বিয়ার একটি প্রতিষ্ঠান এমন কফিন বানাচ্ছে যেগুলো হাসপাতালে রোগীদের বিছানা হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। আবার রোগীর  মৃত্যু হলে এটি কফিন হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে।

প্রায় দুই মাস পর করোনাভাইরাসের কারণে জারি করা লকডাউন প্রত্যাহার করতে যাচ্ছে কলম্বিয়া। করোনা আক্রান্তদের অতিরিক্ত চাপে হাসপাতালগুলোতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আর মৃতের সংখ্যা সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে অন্তেষ্ট্রিক্রিয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে।

এ ব্যবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য এগিয়ে এসেছে এবিসি ডিসপ্লেস নামের একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার রোদোলফো গোমেজ বলেন, ‘ইকুয়েডরে কী ঘটছে আমরা দেখেছি, মানুষ তাদের স্বজনদের মৃতদেহ রাস্তায় ফেলে রাখছে...মহামারির কারণে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সেবায় ধস নেমেছে। তাই আমরা এমন একটি বিছানা তৈরির সিদ্ধান্ত নেই যেটি কফিনে রূপান্তর করা যাবে।’

প্রতিষ্ঠানটির তৈরি করা বিছানায় লোহার রেলিং থাকবে, উপরে-নিচে নামানোর জন্য চাকা ও ব্রেক থাকবে। এই বিছানাটি ১৫০ কেজি ওজনের ভার সইতে পারবে। কফিনে রূপান্তরযোগ্য এই বিছানাটির দাম পড়বে ৯২ থেকে ১৩২ মার্কিন ডলার।

গোমেজের প্রত্যাশা, তার এই স্বল্পমূল্যের বিছানা কাম কফিন স্থানীয় ও প্রাদেশিক সরকারগুলো প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাসপাতালগুলোতে সরবরাহ করতে পারবে। রোগীর মৃত্যুর পর এটি কফিন হিসেবে ব্যবহার করে ফেললে হাসপাতালে দূষণও কম হবে। ঢাকা/শাহেদ