আন্তর্জাতিক

হংকংয়ের বাসিন্দাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার হুমকি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রয়োজনে ইমিগ্রেশন আইন সংশোধন করে হংকংয়ের বাসিন্দাদের যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। চীন নতুন নিরাপত্তা আইন হংকংয়ে প্রয়োগ করলে এটি করা হবে বলে বুধবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

সাউথ চীনা মর্নিং পোস্টে প্রকাশিত নিবন্ধে জনসন বলেছেন, ‘চীন যদি জাতীয় নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ করে, ব্রিটিশ সরকার আমাদের ইমিগ্রেশন আইন পরিবর্তন করবে।’

সম্প্রতি চীনের আইনসভায় বিতর্কিত নতুন নিরাপত্তা আইন পাস হয় । হংকংয়ের বিচ্ছিন্নতা, সন্ত্রাসবাদ ও বৈদেশিক হস্তক্ষেপ মোকাবিলায় আইনটি ব্যবহার করা হবে বলে দাবি করেছে বেইজিং। তবে হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থিদের দাবি, এর মাধ্যমে তাদের বাকস্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করছে চীন। সোমবার গত ৩০ বছরের মধ্যে প্রথমবার তিয়ানআনমেন স্কয়ারে গণতন্ত্রপন্থি বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অভিযানের বর্ষপূর্তি পালনের ওপর নিষেধজ্ঞা আরোপ করে হংকং পুলিশ। নিরাপত্তা আইনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রপন্থিদের আন্দোলনকে দমাতে চীনের প্রতি অনুগত হংকং প্রশাসন এটি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সাবেক উপনিবেশকে বেইজিংয়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার শর্ত প্রসঙ্গে জনসন বলেছেন, ১৯৯৭ সালে হংকংকে চীনের শাসকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা ছিল ‘এক দেশ দুই ব্যবস্থা। এটি নগরীর মৌলিক আইন হিসেবে ব্রিটেন-চীন স্বাক্ষরিত যৌথ ঘোষণায় সন্নিবেশিত করা হয়।’

তিনি বলেন, নিরাপত্তা আইনের প্রয়োগ হবে ‘যৌথ ঘোষণায় চীনের দেওয়া প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক, যেটি জাতিসংঘে নিবন্ধিত আইনি বাধ্যকতার চুক্তি ছিল।’

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, হংকংকে বেইজিং যে প্রস্তাব দিচ্ছে সেটি ‘এর স্বাধীনতাকে খর্ব করবে এবং নাটকীয়ভাবে এর স্বায়ত্ত্বশাসনের বিলোপ ঘটাবে।’ ঢাকা/শাহেদ