আন্তর্জাতিক

করোনা কারফিউয়ে ‘১৫ জনকে হত্যা করেছে’ কেনিয়ান পুলিশ

মিনেসোটার মিনিয়াপোলিসে শ্বেতাঙ্গ পুলিশের নির্যাতনে এক কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার পর বিক্ষোভে ফুঁসছে যুক্তরাষ্ট্র ও গোটা বিশ্ব। ওই ঘটনার পর থেকে একে একে উঠে আসছে পুলিশের বৈষম্যমূলক আচরণ ও বর্বরতা। কাতারের সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে লকডাউনের মধ্যে কেনিয়ান পুলিশের নির্যাতনের কথা।

নোভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে মার্চে দেশে লকডাউন ঘোষণা করেছিল কেনিয়ার সরকার। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত কারফিউ জারি করে তারা। কিন্তু এই সময়ে যারা আইন ভেঙেছেন তাদের জন্য কঠোর ছিল নিরাপত্তা বাহিনী, বিশেষ করে পুলিশ।

শুক্রবার ইন্টারন্যাশনাল পুলিশিং ওভারসাইট বডি’র (আইপিওএ) এক বিবৃতি দেখে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, কারফিউ শুরুর পর থেকে পুলিশের বিরুদ্ধে ৮৭টি অভিযোগ জমা হয়েছে সংগঠনটির কাছে। অভিযোগগুলো ছিল মৃত্যু, গুলি, হেনস্তা, মারধর, ডাকাতি, অমানবিক আচরণ ও যৌন নিপীড়নের।

পুলিশের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করা সংগঠন আইপিওএ বলেছে, ‘প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, কারফিউ শুরুর পর থেকে পুলিশ কর্মকর্তাদের সরাসরি নিপীড়নের শিকার হওয়ার ঘটনা ঘটেছে ৩১টি এবং মারা গেছেন ১৫ জন।’

প্রায় সময় মানবাধিকার সংগঠনগুলো কেনিয়ান পুলিশের বিরুদ্ধে শক্তির অপব্যবহার ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ আনে। কিন্তু তারা শাস্তির আওতার বাইরে থেকে যান। ঢাকা/ফাহিম