করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভিটামিন ডি সহায়ক কিনা তা বের করতে বিশেষজ্ঞদের পর্যালোচনার আদেশ দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। এ ভাইরাসের ঝুঁকি কমাতে ভিটামিন ডি’র সম্ভাব্য সক্ষমতা জরুরি ভিত্তিতে পর্যালোচনা করছেন জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে।
ব্রিটেনে কৃষ্ণাঙ্গ, এশিয়ান ও সংখ্যালঘু নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী (বিএএমই) ব্যাপক হারে এ রোগে আক্রান্ত ও মারা যাওয়ায় সৃষ্ট উদ্বেগের মুখে এই পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। দেরিতে হলেও সরকারী সংস্থা ইংল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য বিভাগ বিএএমই জনগোষ্ঠীর সংক্রমণের কারণ জানতে গবেষণা শুরু করেছে। সম্ভাব্য কারণ হিসেবে তারা জাতিগত দিকটি সামনে আনলেও খাদ্যাভ্যাস ও ভিটামিন ডি’র ভুমিকা যাচাই করেনি।
দ্য সায়েন্টিফিক অ্যাডভাইজরি কমিটি অন নিউট্রিশন (এসএসিএন) গতমাসে এনিয়ে কাজ শুরু করেছে এবং ভিটামিন ডি সংক্রান্ত সাম্প্রতিক সব তথ্য বিবেচনায় রাখছে। বিশেষ করে ভিন্ন বয়সী ও বিএএমই জনগোষ্ঠীর সদস্যদের তথ্যকে গুরুত্ব দিচ্ছে।
পাশাপাশি দ্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর হেলথ অ্যান্ড কেয়ার এক্সিলেন্স (এনআইসিই) করোনার প্রেক্ষাপটে ভিটামিন ডি’র উপর একটি পর্যালোচনা করছে। তাদের সহায়তা করছে ইংল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য বিভাগ।
আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এসব পর্যালোচনা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ পাবে বলে জানা গেছে।
লন্ডনের কুইন ম্যারি বিশ্ববিদ্যলয়ের রেসপিরেটরি ইনফেকশন অ্যান্ড ইমিউনিটি বিভাগের অধ্যাপক আদ্রিয়ান মার্টিনিউ এ পর্যালোচনাকে স্বাগত জানিয়েছেন। বিএএমই জনগোষ্ঠীর মৃত্যুতে ভিটামিন ডি’র স্বল্পতার সংযোগ থাকতে পারে বলে মনে করছেন তিনি।
ঢাকা/ফাহিম