আন্তর্জাতিক

রোহিঙ্গা নিপীড়নে দোষী সাব্যস্ত মিয়ানমারের তিন সামরিক কর্মকর্তা

রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৃশংসতার তদন্ত শেষে তিন সামরিক কর্মকর্তা দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। দেশটির সেনাবাহিনীর উদ্ধৃতি দিয়ে এক প্রতিবেদনে এই খবর নিশ্চিত করেছে আল জাজিরা।

জাতিসংঘের শীর্ষ আদালতে রোহিঙ্গাদের উপর ২০১৭ সালের গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছিল মিয়ানমারের বিরুদ্ধে। তারপরই কোনও সামরিক সদস্যদের বিরুদ্ধে এমন বিরল রায় এলো।

সেনাবাহিনীর নিপীড়নের কারণে সাড়ে ৭ লাখ মুসলিম রোহিঙ্গারা প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। তাদের উপর গণহত্যা, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ ঘটানোর অভিযোগ আনা হয় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে।

অধিকার সংগঠনগুলোর অভিযোগ নিরাপত্তা বাহিনী বিভিন্ন গ্রামে নৃশংসতা চালায়। তার মধ্যে গু দার পিনে ভয়াবহতা ছিল ব্যাপক, সেখানে অন্তত পাঁচটি গণকবর মিলেছে।

শুরুতে অভিযোগ অস্বীকার করলেও সেনাবাহিনী গত বছরের সেপ্টেম্বরে সামরিক আদালত গঠন করে এবং স্বীকার করে ওই গ্রামে ‘নির্দেশনা অনুসরণে সেনাদের মধ্যে দুর্বলতা ছিল’।

মঙ্গলবার কমান্ডার ইন চিফের অফিস ঘোষণা দেয়, সামরিক আদালত দোষী সাব্যস্ত করে তিন কর্মকর্তাকে সাজা দিয়েছে। অপরাধীদের পরিচয়, তাদের অপরাধ কিংবা শাস্তির ধরন সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানায়নি সেনাবাহিনী।

জাতিসংঘ তদন্তকারীরা রাখাইনের গ্রাম মাউং নু ও চুট পিনেও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের আলামত পেয়েছে। সেনাবাহিনী প্রধানের অফিস জানিয়েছে, দুটি গ্রামেই তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে আদালতের তদন্ত কমিটি।

২০১৮ সালে সামরিক আদালত ইন ডিন গ্রামে ১০ রোহিঙ্গাকে হত্যার দায়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েকজন সদস্যকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়। কিন্তু এক বছরেরও কম সময় জেল খেটে মুক্তি পায় তারা। ঢাকা/ফাহিম