আন্তর্জাতিক

‘মস্তিষ্কখেকো’ অ্যামিবার সংক্রমণে ফ্লোরিডায় সতর্কতা

ফ্লোরিডায় হু হু করে বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। রোববার যুক্তরাষ্ট্রের এই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ছাড়িয়েছে। এরই মধ্যে বিরল রোগের লক্ষণ নিয়ে হাসপাতালে এক ব্যক্তির আগমনে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের কপালে। মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবা ‘নাইজেলেরিয়া ফাউলেরি’ সংক্রমণ করেছে ওই ব্যক্তিকে। হিলসবোরো কাউন্টিতে ওই ঘটনার পরপরই সতর্কতা জারি করেছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।

ফ্লোরিডা স্বাস্থ্য দফতরের বরাত দিয়ে একজনের মস্তিষ্কে ‘নাইজেলেরিয়া ফাউলেরি’র সংক্রমণের খবর নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। এককোষী এই অ্যামিবা মস্তিষ্কে সংক্রমণের প্রধান কারণ এবং প্রাণঘাতী।

সাধারণত উষ্ণ স্বাদু পানিতে পাওয়া যায় এই মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবা, নাকের মাধ্যমে শরীরে ঢুকে মস্তিষ্কের ক্ষতি করে। কোথায় থেকে এই সংক্রমণ প্রথম শুরু হলো কিংবা রোগীর অবস্থা সম্পর্কে কিছু জানায়নি ফ্লোরিডার স্বাস্থ্য দফতর। আশার কথা হলো, এই অ্যামিবা ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে সংক্রমিত হয় না।

এই ধরনের সংক্রমণ সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যে হয়ে থাকে। ফ্লোরিডায় তা বিরল, যেখানে ১৯৬২ সাল থেকে কেবল ৩৭ জন এই রোগে আক্রান্ত হন। নতুন রোগী খুঁজে পাওয়ায় সম্ভাব্য মারাত্মক পরিস্থিতি এড়াতে ৩ জুলাই থেকে হিলসবোরোর বাসিন্দাদের সতর্ক করে কর্তৃপক্ষ।

ট্যাপ বা অন্য কোনও উৎস থেকে যেন পানি নাকে না ঢোকে সেই ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলেছে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। হ্রদ, নদী, পুকুর ও খালের মতো উন্মুক্ত জলাশয়ে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের উষ্ণ আবহাওয়ায় এসব অ্যামিবা থাকতে পারে বলে ধারণা তাদের।

‘নাইজেলেরিয়া ফাউলেরি’তে সংক্রমিত ব্যক্তির উপসর্গ জ্বর, ঝিমুনি ও বমি। এছাড়া গলা ও মাথা ব্যথাও দেখা দিতে পারে। অধিকাংশই মারা যায় এক সপ্তাহের মধ্যে।

এধরনের কোনও লক্ষণ দেখা দিলে স্থানীয়দের তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসকদের কাছে যেতে বলেছে ফ্লোরিডার স্বাস্থ্য দফতর। সঠিক চিকিৎসা হলে আরোগ্য লাভ সম্ভব বলছেন ডাক্তাররা।

মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) তথ্য মতে, যুক্তরাষ্ট্রে নাইজেলেরিয়া ফাউলেরির সংক্রমণ বিরল। ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দেশে ৩৪ জনের এ রোগ শনাক্ত হয়েছে। তাদের ৩০ জনই সাঁতার কাটতে গিয়ে সংক্রমিত হয়েছেন। ঢাকা/ফাহিম