আন্তর্জাতিক

মাস্ক না পরলেই বাড়িতে ফেরত

কোথাও ব্যারিকেডে বন্ধ রাস্তা। কোথাও গার্ডরেল, তো কোথাও বাঁশ। দোকানপাটের ঝাঁপ বন্ধ। রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে পুলিশ। মাস্ক না পরে বাইরে বেরোলেই সঙ্গে সঙ্গে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাড়িতে। সেই সঙ্গে মাইকে লকডাউনের নিয়ন্ত্রণবিধি মেনে চলার ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে। বাড়ি থেকে বের হওয়া কার্যত বন্ধ রাখা হয়েছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতাসহ বিভিন্ন কন্টেনমেন্ট জোনে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার পরের চিত্র এটি।

করোনা সংক্রমণ রুখতে রাজ্যের কন্টেনমেন্ট জোনগুলিতে লকডাউনের নিয়ন্ত্রণবিধি কার্যকর করতে পুলিশ রীতিমতো কঠোর ভূমিকা পালন করছে। শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাদের এদিন রাস্তায় নেমে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে দেখা গেছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে কন্টেনমেন্ট জোনগুলোতে বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিল নবান্ন। গত মঙ্গলবারই জেলায় জেলায় নতুন কন্টেনমেন্ট বিধি তৈরি করে কড়া নিয়ন্ত্রণ আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা থেকে সাত দিনের জন্য কন্টেনমেন্ট জোনগুলিতে নিয়ন্ত্রণবিধি কঠোরভাবে কার্যকর করার কথা ছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই নির্দেশের ফলশ্রুতিতে সকাল থেকেই জোনগুলোতে পুলিশি তৎপরতা শুরু হয়ে যায়।

কোথাও গার্ডরেল, কোথাও বা বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় বিভিন্ন কন্টেনমেন্ট জোনের রাস্তা। গণ্ডিবদ্ধ ওই এলাকায় কেউ যাতে ঢুকতে বা বেরতে না পারেন, সে ব্যাপারেও নজর রাখে পুলিশ। মাস্ক ছাড়া কেউ রাস্তায় বের হলে জরিমানা না করে তাকে বাড়ি ফেরত পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য বুধবার পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই নির্দেশ এ দিন পালন করতে দেখা গিয়েছে পুলিশকর্মীদের। জরিমানা না করলেও পুলিশি ধমকের মুখে পড়েছেন মাস্কহীনরা।

কলকাতায় ২৫টির পাশাপাশি হাওড়ায় ৫৬, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৫৪, উত্তর ২৪ পরগনায় ৯৫, হুগলিতে ২১,নদিয়া ২৫, পূর্ব মেদিনীপুরে ১২, পশ্চিম মেদিনীপুরে ২৩, পূর্ব বর্ধমানে ২১, মালদহে ৪, জলপাইগুড়িতে ১১, দার্জিলিঙে ৫, কালিম্পঙে ৩, উত্তর দিনাজপুরে ৩০, দক্ষিণ দিনাজপুরে ১০, মুর্শিদাবাদে ৪, বাঁকুড়ায় ৯, বীরভূমে ৯, পুরুলিয়ায় ১৩ এবং আলিপুরদুয়ারে চারটি কন্টেনমেন্ট জোনে একই রকমের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে রাজ্য পুলিশের উদ্যোগে।

সূত্র : আনন্দবাজার ঢাকা/শাহেদ