আন্তর্জাতিক

লন্ডনে ফিরতে পারবেন আইএস বধূ শামিমা

সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দিতে সিরিয়ায় যাওয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটেনের নাগরিক শামিমা লন্ডনে ফিরতে পারবেন। তার নাগরিকত্ব বাতিলে সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানাতেই তাকে দেশে ফিরতে দেওয়া উচিত। বৃহস্পতিবার লন্ডনের আপিল আদালত এ রায় দিয়েছে।

আদালত এক রায়ে জানিয়েছে, সিরিয়ায় শরণার্থী শিবির থেকে নিজের মামলার শুনানিতে অংশ নিতে পারেননি শামিমা। এর ফলে তিনি ন্যায্য শুনানি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, আদালতের এই রায় ‘হতাশাব্যাঞ্জক’। তারা এই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আপিল করবেন।

আদালতের রায়ের অর্থ হচ্ছে, এখন শামিমাকে সিরিয়ার শরণার্থী শিবির থেকে লন্ডনের আদালতে হাজির করার উপায় খুঁজে বের করতে হবে ব্রিটিশ সরকারকে।

বিচারপতি ফ্লক্সের নেতৃত্বে বিচারপতি কিং ও বিচারপতি সিং তাদের রায়ে বলেছেন, ন্যায্যতা ও বিচার অবশ্যই, এই মামলার ক্ষেত্রে জাতীয় নিরাপত্তার উদ্বেগকে অতিক্রম করতে হবে, যাতে অনুপস্থিত ব্যক্তিকে আপিলের সুযোগ দেওয়া যায়।’

বিচারকরা বলেছেন, তিনি (শামিমা) যুক্তরাজ্যে যদি ফেরেন তখন জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি উল্লেখ ও ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

শামীমার আইনজীবী ড্যানিয়েল ফার্নার বলেছেন, ‘শামিমা কখনোই নিজের পক্ষের বক্তব্য জানানোর ন্যায্য সুযোগ পাননি।’

২০১৫ সালে ১৫ বছর বয়সে আইএসে যোগ দিতে লন্ডন ছেড়েছিলেন শামিমা। চার বছর পরে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সিরিয়ার একটি শরণার্থী শিবির থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ তার যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব বাতিল করেন। এর বিরুদ্ধে আবেদন করে শামিমা বেগমের আইনজীবী তাকে দেশে ফিরতে দেওয়ার অনুমতি চেয়েছিলেন। তবে স্পেশাল ইমিগ্রেশন আপ্রিল ট্রাইব্যুনাল শামিমার নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার পক্ষে রায় দেয়। ঢাকা/শাহেদ