আন্তর্জাতিক

শুরুতে করোনার বিষয়ে বুঝতেই পারিনি: জনসন

ইউরোপে করোনাভাইরাসের হটস্পটে পরিণত হয়েছিল যুক্তরাজ্য। নতুন এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের বিস্তার এতটা হতো না, যদি ভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া যেতো। শুরুতে ভাইরাসটি সম্পর্কে কোনও ধারণা ছিল না বলেই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেনি বলে স্বীকার করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

শুক্রবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা নিয়ে সরকারের প্রচেষ্টা তুলে ধরেন জনসন। তার কাছে জানতে চাওয়া হয় করোনার সংক্রমণ রুখতে যুক্তরাজ্য কি লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিতে একটু দেরি করে ফেলেছিল? 

জবাবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠে ব্যর্থতার অভিব্যক্তি, ‘এমন প্রশ্ন মাঝেমধ্যেই শুনতে হচ্ছে আমাকে। আসলে আমরা বিজ্ঞানী ও গবেষকদের পরামর্শে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তখনও আমাদের কাছে করোনাভাইরাস নতুন ছিল। শুরুতে এটা সম্পর্কে আমাদের পুরোপুরি ধারণা ছিল না। তাই কীভাবে কী করতে হবে বুঝতে পারিনি।’

শুরুর দিকে সংক্রমণের তীব্রতা কম থাকায় একে কম গুরুত্ব দিয়ে ফেলেছিল সরকার।  এমনটাই জানালেন জনসন, ‘বিশেষ করে প্রথম কয়েক সপ্তাহ আমরা অন্ধকারে ছিলাম। শুরুতে ভাইরাসটি আস্তে আস্তে ছড়াচ্ছিল। তাদের মধ্যে অনেকেরই কোনও লক্ষণ ছিল না, কিন্তু ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে সংক্রমণ ঠিকই হচ্ছিল। এরপর তা দ্রুত ছড়ায়।’

করোনা মোকাবিলায় নেওয়া পদক্ষেপগুলো সঠিক ছিল না মনে করছেন সরকার প্রধান, ‘সত্যি বলতে শুরুতে আমরা করোনাভাইরাসকে যেভাবে মোকাবিলার চেষ্টা করেছি, তা হয়তো যথাযথ ছিল না। কিন্তু এই ঘটনা থেকে আমরা শিক্ষা নিয়েছি। করোনা রুখতে আমরা শুরুতে যা করেছি সেটা হয়তো ভিন্নভাবেও করা যেত।’

করোনাভাইরাসে যুক্তরাজ্যে এ পর্যন্ত ৪৫ হাজার ৬৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ৯৭ হাজার ৯১৪ জন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও আক্রান্ত হয়েছিলেন। হাসপাতালেও ভর্তি ছিলেন, নিতে হয়েছিল অক্সিজেন।

 

ঢাকা/আমিনুল/ফাহিম