আন্তর্জাতিক

কেরালায় বিমান দুর্ঘটনার সম্ভাব্য তিন কারণ

শুক্রবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো দুই পাইলটসহ অন্তত ১৮ জনের। কেরালার কোঝিকোড় বিমানবন্দরে বৃষ্টির মধ্যে রানওয়েতে অবতরণের সময় চাকা পিছলে ৩৫ মিটার দূরে খাদের নিচে পড়ে দুই টুকরো হয়ে যায় বোয়িং ৭৩৭। এরই মধ্যে বিমানটির ব্ল্যাকবক্স উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কী কারণে ঘটলো এই দুর্ঘটনা, সেই উত্তর জানতে চলছে অনুসন্ধান। এখন পর্যন্ত সম্ভাব্য তিনটি কারণ উঠে এসেছে।

প্রথমত, বিমান উড়ানের জন্য হয়তো পাইলটদের ফিটনেসে ঘাটতি ছিল। সাধারণত যে কোনও বিমান উড়ানের আগে প্রতি বছর দুইবার করে ফিটনেস পরীক্ষা দিতে হয় পাইলটদের। এতে বিমান উড়ানের জন্য কতটা তারা ফিট, তার পরীক্ষা ও মূল্যায়ন করা হয়। কিন্তু করোনা ভাইরাস কারণে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সেই পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। ফলে ওই দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের পাইলট কতটা ফিট ছিলেন তা নিয়ে সন্দেহ থেকে যায়।

দ্বিতীয়ত, পাইলটদের মনে অশান্তি তৈরি করেছিল বেতন হ্রাসের ঘোষণা। তাই পাইলটরা অত্যন্ত মানসিক চাপে ছিলেন বলে আরেকটি সম্ভাব্য কারণ উঠে এসেছে। সম্প্রতি এয়ার ইন্ডিয়া তাদের সংস্থার পাইলটদের ৬০ শতাংশ বেতন হ্রাসের ঘোষণা করেছিল। পয়লা এপ্রিল থেকেই এই নিয়ম বলবৎ করা হবে বলে জানানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) এই ঘোষণা করা হয়। ফলে পাইলটদের মানসিক চাপে থাকা অস্বাভাবিক নয়।

তৃতীয়ত, দুর্ঘটনাস্থল কোঝিকোড় বিমানবন্দরটি ‘টেবিল টপ রানওয়ে’ নামেও পরিচিত। এই রানওয়ে বিপজ্জনক এবং এখানে বড় কোনও বিমান অবতরণ করতে পারে না। এই রানওয়ের লাইট নিয়েও সমস্যা আছে। সাধারণত রানওয়ের মাঝে আলো থাকে, যাকে বলা হয় সেন্টার লাইট। এর ফলে রানওয়ের অবতরণের অংশটি সম্পূর্ণভাবে দেখতে পান পাইলটরা। কিন্তু এই বিমানবন্দরে সেরকম কোনও আলো নেই, এই পরিস্থিতিকে বলা হয় ব্ল্যাক হোল অ্যাপ্রোচ। দুর্ঘটনার দিন একটানা বৃষ্টি ও ব্ল্যাকহোল অ্যাপ্রোচ সমস্যার কারণে পাইলটরা ঠিকভাবে রানওয়েটা দেখতে পাননি বলে মনে করা হচ্ছে।

সূত্র: ডিএনএ ইন্ডিয়া