আন্তর্জাতিক

নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার হংকংয়ের মিডিয়া সম্রাট

‘বিদেশি শক্তির সঙ্গে মিলিত’ হওয়ার অভিযোগে হংকংয়ের মিডিয়া সম্রাট জিমি লাইকে অঞ্চলটির নতুন নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এক মাস আগে চীন বিতর্কিত এই আইন আরোপ করার পর এটাই সর্বোচ্চ বিশিষ্ট ব্যক্তি গ্রেপ্তারের ঘটনা।

লাইর নেক্সট মিডিয়া গ্রুপের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী মার্ক সিমন টুইটারে লিখেছেন, মিডিয়া সম্রাটকে (লাই) ‘এই সময়ে বিদেশি শক্তিগুলোর সঙ্গে মিলিত হওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে’ এবং প্রকাশকের কার্যালয়ের তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।

লাইর অ্যাপল ডেইলি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সোমবার (১০ আগস্ট) স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় ৭২ বছর বয়সীর বাড়িতে ঢোকে ১০ পুলিশ কর্মকর্তা। দৈনিক পত্রিকাটি আরও জানায়, লাই ও তার দুই ছেলেসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়াদের মধ্যে অ্যাপল ডেইলির সিনিয়র ম্যানেজমেন্টও আছেন। সিমনও গ্রেপ্তারের তালিকায় ছিলেন বলে যোগ করেছে পত্রিকাটি।

৩৯ থেকে ৭২ বছর বয়সী সাতজনকে গ্রেপ্তারের কথা নিশ্চিত করেছে পুলিশ। এক বিবৃতিতে তারা টুইটার অ্যাকাউন্টে জানায়, ‘নিরাপত্তা আইনের আর্টিকেল ২৯ অনুযায়ী জাতীয় নিরাপত্তা লংঘন করতে একটি বিদেশি দেশ কিংবা বহিঃশক্তির সঙ্গে মিলিত হওয়ার মতো অপরাধ করেছে তারা। তদন্ত চলমান।’ আর্টিকেল ২৯ অনুযায়ী বিদেশের কোনও ব্যক্তির কাছ থেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যে কোনও সমর্থন পাওয়া অপরাধ এবং আজীবন কারাদণ্ডের মতো সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রয়েছে।

হংকং ও চীনের কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, অঞ্চলটির সাধারণ মানুষের স্বাধীনতা হরণ কিংবা বাকস্বাধীনতা কেড়ে নেওয়ার জন্য নতুন আইন নয়। তবে নিরাপত্তা বাহিনী যে ব্যাপক ধরপাকড় চালাচ্ছে, তাতে করে এই দাবি নিয়ে সন্দেহের অবকাশ থেকে যায়। লাইর গ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন শহরটির গণতন্ত্রপন্থি নেতা জোশুয়া ওং, ‘অ্যাপল ডেইলির জিমি লাইকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’