আন্তর্জাতিক

ক্ষমতার জোরে ইরানের ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা আরোপ চান ট্রাম্প

এক রকম গায়ের জোরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন বলেছে, ইরানের ওপর জাতিসংঘের সব নিষেধজ্ঞা পুনরায় আরোপ করতে হবে। শুধু তা-ই নয়, তেহরানের ওপর যে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আগামী অক্টোবর মাসে শেষ হওয়ার কথা সেটিও শেষ হতে পারবে না। সূত্রের বরাত দিয়ে শনিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে, যেসব দেশ জাতিসংঘের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া ইরানের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করবে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগের পরিকল্পনা করছেন ট্রাম্প। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই ট্রাম্প এ সংক্রান্ত আদেশ দিতে পারেন। এর ফলে যারাই মার্কিন নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করবে তারা যুক্তরাজ্যের বাজারে প্রবেশ করতে পারবে না।

অবশ্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে ১৩টিই জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ বাতিলযোগ্য। কারণ ২০১৫ সালে তেহরানের সঙ্গে ছয় জাতিগোষ্ঠীর যে পরমাণু চুক্তি হয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন ওয়াশিংটনকে সেই চুক্তি থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে। চুক্তির পক্ষ না থাকায় চুক্তি  সংক্রান্ত কোনো বিষয়েই যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার নেই। 

শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি বলেছে, ইরানের ওপর থেকে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞামুক্তি ২০ সেপ্টেম্বরের পরও চলবে। অর্থাৎ এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে না, বরং ছাড় অব্যাহত থাকবে।

এই তিন দেশের কূটনীতিকরা নিরাপত্তা পরিষদের কাছে লেখা চিঠিতে বলেছেন, ‘আমরা পারমাণবিক চুক্তি রক্ষা করতে ক্লান্তিহীনভাবে কাজ করেছি এবং অন্যরাও একই রকম করেছে।’

ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে ঘনিষ্ঠ মিত্ররাও এখন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এখন দেখার বিষয় ট্রাম্প প্রশাসন বিশ্বের ক্ষমতাধর চার দেশ যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি ধমকি উপেক্ষা করে ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক অব্যাহত রাখে কিনা। আর রাখলে তাদের ওপর আদতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন কিনা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।