আন্তর্জাতিক

টিকা এলেও আগামী বসন্তে জীবনযাপন স্বাভাবিক হচ্ছে না

করোনার কার্যকর টিকাও আগামী বসন্তে মানুষের জীবনযাপনকে স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারবে না। এক দল শীর্ষস্থানীয় বৈজ্ঞানিক এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন বলে বৃহস্পতিবার বিবিসি জানিয়েছে।

মহামারি দূর করতে বা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে টিকাকে কার্যকর উপাদান হিসেবে সাধারণত বিবেচনা করা হয়।

তবে যুক্তরাজ্যের রয়েল সোসাইটির সঙ্গে যৌথভাবে এক প্রতিবেদনে গবেষকরা বলেছেন, ‘টিকা কী অর্জন করতে পারবে এবং কখন পারবে সে বিষয়ে আমাদের বাস্তববোধসম্পন্ন হতে হবে। টিকা বাজারে আসতে যদি এক বছর পর্যন্ত সময় নেয় তাহলে করোনার কারণে জারি করা নিষেধাজ্ঞাগুলো ধাপে ধাপে সরিয়ে নিতে হবে।’

ইমপেরিয়াল কলেজ লন্ডনের ন্যাশনাল হার্ট অ্যান্ড লাঞ্জ ইনিস্টিটিউটের ড. ফিওনা কালি বলেছেন, ‘টিকা মহামারি অবসান সম্ভাবনার অনেক বড় আশা দেখায়, তবে বিপুল ব্যর্থতার মধ্য দিয়ে টিকার উন্নয়ন ঘটার ইতিহাস আমরা জানি।’

ব্রিটিশ সরকারের বিজ্ঞান বিষয়ক উপদেষ্টরাসহ অনেকে আশাবাদী চলতি বছরই হয়তো করোনার টিকা পাওয়া যাবে এবং আগামী বছরের শুরুতেই ব্যাপক হারে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করা যাবে। তবে টিকার দীর্ঘ প্রক্রিয়া নিয়ে সতর্ক করেছে রয়েল সোসাইটি।

ইমপেরিয়াল কলেজ লন্ডনের কেমিকেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রধান অধ্যাপক নিলয় শাহ বলেছেন, ‘টিকার সহজ প্রাপ্যতা নিশ্চিত হওয়ার মানে এই নয় যে, কয়েক মাসের মধ্যে সবাইকে টিকা দেওয়া হয়ে যাবে। আমরা ছয় মাস, ৯ মাস... এক বছরের কথা বলছি।’

তিনি বলেন, ‘মার্চে হঠাৎ করেই জীবনযাপন স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে যাওয়ার কোনো প্রশ্ন নেই।’