আন্তর্জাতিক

কার্যকর টিকা নির্বাচনে বাংলাদেশকে নিয়ে বৈশ্বিক নেটওয়ার্কের উদ্যোগ

করোনার সম্ভাব্য টিকার তথ্য মূল্যায়ণে বৈশ্বিক পরীক্ষাগার নেটওয়ার্ক গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য বিষয়ক অলাভজনক সংস্থা কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনস (সিইপিআই)। এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে টিকাগুলোর ‘একটির সঙ্গে আরেকটির’ তুলনা করে ‘সবচেয়ে কার্যকরটি’ নির্বাচনের সুযোগ পাবেন বিজ্ঞানী ও ওষুধ প্রস্তুতকারীরা।

সিইপিআইয়ের ভ্যাকসিন আর অ্যান্ড ডি এর পরিচালক মেলানি স্যাভিলি  জানিয়েছেন, করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে ওষুধ প্রস্তুতকারীরা যেখানে কার্যকর টিকা উন্নয়নে প্রতিযোগিতা চালিয়ে যাচ্ছেন সেখানে এই ধারণাটি হচ্ছে ‘আপেলের সঙ্গে আপেলের তুলনার’ মতো।

করোনা মহামারি মোকাবিলায় এ ধরনের কেন্দ্রীয় নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ এই প্রথম। প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ, কানাডা, ব্রিটেন, ইতালি, নেদারল্যান্ডস ও ভারতের ছয়টি ল্যাবের সঙ্গে কাজ করবে সিইপিআই। ইউরোপ, এশিয়া ও উত্তর আমেরিকা পর্যন্ত বিস্তৃত সিইপিআই নেটওয়ার্কে থাকা ল্যাবগুলোতে ট্রায়ালে থাকা টিকাগুলোর নমুনার বিশ্লেষণকে এক জায়গায় নিয়ে এসে তুলনা করা হবে।

মেলানি স্যাভিলি বলেন, ‘বিষয়টা হচ্ছে টিকাগুলো যেন এক ছাদের নিচে নিয়ে এসে পরীক্ষা করা হবে।’ এতে টিকাগুলোর ভিন্ন ভিন্ন ফলাফল আসার ঝুঁকি কমবে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘আপনি যখন কোনো নতুন রোগের টিকা তৈরি শুরু করবেন, তখন প্রত্যেকেই তাদের মতো করে তা উন্নয়নের চেষ্টায় থাকে। তারা ভিন্ন প্রটোকল ও রাসায়নিকে কাজ করে। তাই আপনি যখন ভিজ্যুয়াল রেকর্ড পাবেন তখন পরীক্ষায় থাকা পৃথক টিকাগুলোর মধ্যে তুলনা বেশ মুশকিল।’

স্যাভিলি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় পরীক্ষাগার থাকলে আমরা যে আপেলের সঙ্গে আপেলের তুলনা করছি সে বিষয়টি সত্যিকারার্থে নিশ্চিতের সুযোগ দেবে এটি।’

বিশ্বে করোনার দুই শতাধিক টিকা এখনও ট্রায়ালের পর্যায়ে রয়েছে। এর মধ্যে পুরোপুরি কার্যকর ট্রায়াল ছাড়াই রাশিয়া ও চীন জরুরি ব্যবহারের কথা বলে টিকা দেওয়া শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের মর্ডানা, পিফজার, যুক্তরাজ্যের আস্ট্রাজেনেকা এবং চীনের সিনোভ্যাক ট্রায়ালের চূড়ান্ত ধাপে রয়েছে।