আন্তর্জাতিক

কঠোর লকডাউনে লন্ডনের বাসিন্দারা

করোনার বিস্তার রোধে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে লন্ডনের ৯০ লাখ বাসিন্দা কঠোর লকডাউনের মধ্যে পড়তে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক এ ঘোষণা দিয়েছেন।

হ্যানকক জানিয়েছেন,  টায়ার ২ নামে করোনার নতুন এই নিষেধাজ্ঞার তিনটি পর্যায় বা ধাপ থাকবে। যেসব স্থানে সংক্রমণ ঝুঁকি কম বা করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কম সেখানে মধ্যম, যেখানে ঝুঁকি বা আক্রান্তের সংখ্যা আরেকটু বেশি সেখানে উচ্চ এবং যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি সেখানে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি থাকবে।

মধ্যম সতর্কতার আওতায় বাড়ি বা প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে ছয় জনের বেশি জমায়েত হওয়া যাবে না এবং পাব ও রেস্তোরাঁগুলো রাত ১০টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। উচ্চ সতর্কতার আওতায় অভ্যন্তরে কোনো জমায়েত নয় তবে বাহিরে ছয় জনের নিয়ম কার্যকর থাকবে এবং পাব ও রেস্তোরাঁ রাত ১০টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। সর্বোচ্চ সতর্কতার আওতায় অভ্যন্তরে ও সেবাকেন্দ্রগুলোতে বা ব্যক্তিগত বাগানে কোনো জমায়েত নয়, পার্কের মতো উন্মুক্ত স্থানগুলোতে ছয় জনের বেশি জমায়েত নয়, যেসব পাব ও রেস্তোরাঁয় খাবার পরিবেশন করা হয় না সেগুলো বন্ধ থাকবে এবং নির্ধারিত এলাকাগুলোতে ভ্রমণের ক্ষেত্রে গাইডলাইন অনুসরণ করতে হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক বলেছেন, ‘আমরা সংক্রমণের প্রথম চূড়াতে জেনেছি, দ্রুত সংক্রমণ ঘটতে পারে এবং সেটি ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিনের ওপর ব্যাপক চাপ ফেলতে পারে। তাই পরবর্তীতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আগেই আমাদের এখনই কাজ করতে হবে।’