তিব্বতে মানবাধিকার ইস্যু দেখভাল করতে যুক্তরাষ্ট্রের দূত নিয়োগ দেওয়ার তীব্র সমালোচনা করেছে চীন। বেইজিংয়ের দাবি, এই পদক্ষেপ তিব্বতকে ‘অস্থিতিশীল’ করতে পারে এবং চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজান বৃহস্পতিবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এই সমালোচনা করেছেন।
বুধবার শীর্ষ মানবাধিকার কর্মকর্তা রবার্ট ডেস্ট্রোকে তিব্বতবিষয়ক বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ওই দিন জানান, ২০১৭ সাল থেকে এই পদটি খালি ছিল।
যুক্তরাষ্ট্র এমন সময় এই পদক্ষেপ নিলো যখন একাধিক ইস্যুতে বেইজিং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি শিনজিয়াংয়ের উইঘুর মুসলমানদের ওপর বেইজিংয়ের নিপীড়নসহ তিব্বতে মানবাধিকার লঙ্ঘন ইস্যুতে চীনের সমালোচনা করে আসছে।
ঝাও লিজান বলেছেন, ‘তিব্বতের ইস্যু চীনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার যেখানে কোনো বিদেশি হস্তক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয়। তিব্বত ইস্যুর জন্য তথাকথিত সমন্বয়কারী নিয়োগ চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ এবং তিব্বতকে অস্থিতিশীল করতে পুরোপুরি রাজনৈতিক কারসাজি। চীন এর তীব্র বিরোধিতা করছে।’