আন্তর্জাতিক

ইতালির সঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ

করোনার প্রাদুর্ভাবের পর সরকারের অব্যবস্থাপনা নিয়ে একটি প্রতিবেদন অপসারণে ইতালির সঙ্গে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিরুদ্ধে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে করোনা মহামারির কবলে প্রথম পড়েছিল ইতালি। মহামারির পর সরকারের অব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিজ্ঞানী ফ্রান্সিসকো জ্যাম্বন ও তার ১০ সহকর্মী। কুয়েত সরকার এতে অর্থায়ন করেছিল।

‘অ্যান আনপ্রিসিডেন্টেড চ্যালেঞ্জ: ইতালিস ফার্স্ট রেসপন্স টু কোভিড-১৯’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি গত ১৩ মে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়। এর পরের দিনই এটি সরিয়ে ফেলা হয়। 

১০২ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ২০০৬ সাল থেকে ইতালির মহামারির তথ্য হালনাগাদ করা হয়নি। তাই এ ব্যাপারে প্রস্তুতি না থাকায় করোনা মহামারির প্রথম পর্যায়ে হাসপাতালগুলোর প্রাথমিক পদক্ষেপ ছিল ‘অস্থির, বিশৃঙ্খল ও সৃজনশীল’। আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা বা গাইডলাইন পেতে অতিরিক্ত সময় লেগেছিল।

দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কৌশলগত উদ্যোগের সহকারি মহাপরিচালক রানিয়েরি গুয়েরার অনুরোধে প্রতিবেদনটি ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। ২০১৪ থেকে ২০১৭ সালের শেষ সময় পর্যন্ত গুয়েরা ইতালির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিরোধক স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক ছিলেন। শুধু তাই নয়, তিনি ইতালি সরকারের কোভিড-১৯ টাস্কফোর্সের বিজ্ঞানীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন।

ইতালির লোম্বার্ডি প্রদেশের সরকারি কৌঁসুলি বারগামো সরকারের অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে যে তদন্ত করছিলেন তাতে অতিপ্রয়োজনীয় উপাদান ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনটি। সরকারের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য অপরাধমূলক অবহেলার অভিযোগ আনা হয়েছিল ওই প্রতিবেদনে। 

প্রসঙ্গত, ইতালিতে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৬০ হাজার ছাড়িয়েছে। দেশটির লোম্বার্ডি প্রদেশে মৃত ও আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশি।