পশ্চিমা অর্থনীতিতে চীনা বিনিয়োগের প্রকৃত ধরণ যাচাইয়ে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন তিনি।
শীতল যুদ্ধ অবসানের পর ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পাশাপাশি সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূ-রাজনৈতিক ঘটনাগুলির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গত ৪০ বছরে চীনের বিপুল অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তি বৃদ্ধি। গত কয়েক বছর ধরে চীনের ব্যাপারে একটি নীতি নির্ধারণে চেষ্টা করে যাচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলো। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি বন্ডসহ লাভজনকখাতে চীনের বিপুল বিনিয়োগে রীতিমতো বিস্মিত পশ্চিমা দুনিয়া। তারা চীনকে বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচনা করছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের কাছে বিবিসি জানতে চেয়েছিল, পশ্চিমাদের চীনা বিনিয়োগ প্রত্যাখ্যান করা উচিত কিনা।
জবাবে ব্লিঙ্কেন বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনকে ধরে রাখতে বা একে ঠেকাতে চেষ্টা করছে না। তবে পশ্চিমা চাচ্ছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নিয়মভিত্তিক যেসব আন্তর্জাতিক নির্দেশনা রয়েছে চীন যেন সেই অনুযায়ী কাজ করে।
পশ্চিমা বিশ্বে চীনের বিপুল বিনিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি এসব বিনিয়োগের প্রকৃত ধরণ কী সেই ব্যাপারে অত্যন্ত সতর্ক হতে হবে। তারা যদি কৌশলগত শিল্প ও কৌশলগত সম্পদে বিনিয়োগ করে, তাহলে দেশগুলোকে তা খুবই সতর্কতার সাথে দেখা উচিত।’