আন্তর্জাতিক

আমাকেও গ্রেপ্তার করুন: মমতা

ভারতের চাঞ্চল্যকর নারদাকাণ্ডে পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমসহ তৃণমূলের চার নেতাকে আটক করেছে সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)। এর প্রতিবাদে সিবিআই দপ্তর নিজাম প্যালেসে ছুটে যান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমাকেও গ্রেপ্তার করুন।’

তাদের আটকের বিষয়টি বেআইনি বলে মমতা বলেছেন, যত ক্ষণ না তাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, তিনি নিজাম প্যালেস ছাড়ছেন না।

সোমবার (১৭ মে) সকালে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক মদন মিত্রকে তুলে আনা হয় সিবিআই দপ্তরে। কোনো নোটিশ ছাড়া মাত্র ঘণ্টা দেড়েকের ব্যবধানে চার জনকে তুলে আনা হয়। পরে আটক করা হয় তাদের। 

আটকের সময় ফিরহাদ বলেন, ‘নারদ মামলায় আমাকে আটক করেছে সিবিআই। বিনা নোটিশে আমাকে আটক করা হলো। স্পিকারের অনুমতি ছাড়াই আমায় গ্রেপ্তার করা হলো। আদালতে দেখে নেব।’    ভারতের গণমাধ‌্যমগুলো জানিয়েছে, সোমবারই নারদকাণ্ডে এই চার জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট আদালতে জমা দেবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। কিছুদিন আগেই নারদ মামলায় চার্জশিট গঠনের অনুমতি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।

নারদাকাণ্ডে বিষয়ে জানা যায়, ২০১৪ সালে ম্যাথু স্যামুয়েল ও তার সহকর্মী অ্যাঞ্জেল আব্রাহাম প্রায় বাহান্ন ঘণ্টা ধরে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত একটি স্টিং অপারেশন করেন। যা ২০১৬ সালে বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রকাশ্যে আসে। গোপন ক্যামেরায় রেকর্ড করা ওই ভিডিওতে একাধিক নেতা-মন্ত্রীকে আর্থিক লেনদেন করতে দেখা যায়। ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র, মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী, কাকলি ঘোষ দস্তিদারসহ আইপিএস অফিসার এস এম এইচ মির্জাকে টাকা নিতে দেখা যায়। বিপুল পরিমাণ ওই অর্থের বিনিময়ে কাজ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতেও শোনা যায়। আর এই স্টিং অপারেশন সামনে আসার পরই রীতিমতো তোলপাড় হয় সর্বত্র। যদিও তৃণমূলের তরফে ভিডিওর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। তবে বিরোধীরা তা মানতে নারাজ।