আন্তর্জাতিক

বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন গাজার বাসিন্দারা

টানা ১১ দিন পর শুক্রবার রাতে কিছুটা স্বস্তি নিয়ে ঘুমাতে পেরেছিলেন অবরুদ্ধ গাজার বাসিন্দারা। ওই রাতে ইসরায়েলের কোনো বোমা শহরের ওপর পড়েনি। শুক্রবার যুদ্ধবিরতির পর বাসিন্দারা তাদের বিধ্বস্ত বাড়িঘরে ফিরতে শুরু করেছেন। এসময় অনেকে সংবাদমাধ্যমের কাছে তাদের স্বজন হারানোর কথা বলেছেন।

গত রোববার রাতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় আল-ওয়াহদাহ সড়কের তিন ভবন বিধ্বস্ত হয়। এতে নিহত হয় ৪০ জনের বেশি মানুষ। ওই ভবনগুলির কয়েকটি ব্লক পরেই বাস করেন ৬৭ বছরের মাহমুদ আবু আল-আউফ। তবে বিধ্বস্ত তিনটি ভবনের একটিতে তার স্বজনরা বাস করতেন, যাদের অধিকাংশই নিহত হয়েছেন। 

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে মাহমুদ বলেন, ‘আমার চাচাতো ভাই,  আমার বোন, তার ছেলে, তার সন্তান, আমার ভাগ্নি ও তার সন্তানরা কেউ নেই।’

নিহতদের মধ্যে ছিলেন গাজার আল-শিফা হাসপাতালের কোভিড-১৯ ওয়ার্ডের প্রধান ড. আয়মান আবু আল আউফ। তিনি সবে কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরেছিলেন। ওই সময় তার বাড়ির ওপর ইসরায়েলি বিমান বোমা হামলা চালায়।

এই পরিবারের আরেক সদস্য আল আবু আল আউফ বোমা হামলার সময় কাছাকাছি একটি দোকানে ছিলেন। 

তিনি বলেন, ‘আমি দৌঁড় দিলাম এবং দেখলাম ধুলা ও ধ্বংসাবশেষ, কানে আসছিল আহাজারি ও চিৎকার।’

ধ্বংসস্তুপ থেকে উদ্ধারকারীরা আলা আবুর ২১ বছরের মেয়ে শাইমা ও ১৯ বছরের রুয়ানকে উদ্ধার করেছে।

বোমা হামলার আগে ইসরায়েল কোনো সতর্কবার্তা না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে আলা আবু বলেন, ‘ইসরায়েলিদের কাছে  একটি ফোন কলের চেয়ে আমাদের জীবনের দাম কম। তারা অন্তত ফোন করে ভবন খালি করে দেওয়ার কথা বলতে পারত। তোমরা  সুড়ঙ্গ ধ্বংস করতে চাও? কর। কিন্তু আমাদের সতর্ক করা দরকার ছিল। আমরা বেসামরিক নাগরিক। এর সঙ্গে আমাদের কোনো লেনাদেনা নেই।’