আন্তর্জাতিক

আল-কায়েদা প্রধান জাওয়াহিরি বেঁচে আছেন: জাতিসংঘ

আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন আল-কায়েদার প্রধান আয়মান আল জাওয়াহিরি সম্ভবত জীবিত আছেন। তিনি সম্ভবত আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অবস্থান করছেন।

জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। 

শুক্রবার (৪ জুন) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, তালেবানদের সাথে জড়িত বিপুল সংখ্যক আল কায়েদা সন্ত্রাসী এবং অন্যান্য বিদেশি সন্ত্রাসীরা আফগানিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থান করছে।

প্রতিবেদনে জাতিসংঘের সদস্যদেশগুলোর বিশ্লেষকদের মন্তব্য প্রকাশ করা হয়েছে। তাদের মতে,আল কায়েদার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সীমান্ত অঞ্চলে অবস্থান করছে যার সাথে তাদের মূল অংশ ও সহযোগী সংগঠনগুলো মিলিতভাবে ভারতীয় উপমহাদেশে আল-কায়েদার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।

পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে এক সদস্য রাষ্ট্র প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আল কায়দার প্রধান আয়মান আল জাওয়াহিরি আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে কোথাও রয়েছেন। এর আগে তার মৃত্যুর খবরটি প্রকাশ পেলেও তা নির্ভরযোগ্য সূত্রে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে তিনি যে সম্ভবত বেঁচে আছেন এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন সংবাদমাধ্যমগুলোতে  প্রকাশ না পাওয়ায় বিষয়টি ঢেকে গেছে।  আল-কায়েদা এবং তালেবান কর্মকর্তাদের মধ্যে আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ বর্তমানে দেখা না গেলেও,আফগান শান্তি প্রক্রিয়া সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে তালেবান ও আল কায়েদার মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছে এক সদস্য রাষ্ট্র।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে,ভারতীয় উপমহাদেশে আল-কায়েদার সদস্যদের সংখ্যা কয়েক ডজন থেকে ৫০০ জনের কাছাকাছি ।  তারা কান্দাহার, হেলমান্দ এবং নিমরুজ প্রদেশ থেকে তালেবানদের ছত্রছায়ায় কাজ করে। আল কায়েদার মূল সদস্যপদটি মুলত আফগান বংশোদ্ভূত নাগরিকদের হলেও ,গোষ্ঠীটিতে  উত্তর আফ্রিকা এবং মধ্য প্রাচ্যের নাগরিকরাও রয়েছেন । এই সন্ত্রাসবাদী দলটিকে তালেবান মিত্রদের থেকে পৃথক করা কঠিন হলেও অসম্ভব কিছু না । 

আল কায়দা এবং সমমনা গোষ্ঠীগুলো দোহা শান্তিচুক্তিকে  আফগানিস্তানের তালেবানদের পক্ষে এবং বিশ্বব্যাপী উগ্রবাদের বিপক্ষে একটি বিজয় হিসাবে উল্লেখ করে ২০২০ সালের মে মাসে ঈদ-উল-ফিতরে অডিও বার্তা প্রকাশ করেছিল। ধারনা করা হচ্ছে, দোহা চুক্তির তালেবানদের পাশাপাশি আল কায়েদাও লাভবান হতে পারে।

পাশাপাশি আফগানিস্তানের যেকোনো স্থান আবারও আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক উগ্রপন্থীদের গন্তব্যস্থল হয়ে উঠতে পারে বলে বিশ্বসম্প্রদায়গুলোকে সতর্ক করে পর্যবেক্ষণ করতেও প্রতিবেদনটিতে জানানো হয়েছে।