আন্তর্জাতিক

করোনার পরবর্তী ঢেউ ভিন্ন ধরনের হবে

করোনার পরবর্তী ঢেউটি ভিন্নতর হতে পারে। গত বছর লকডাউনের মাধ্যমে প্রথম দফার ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছিল। এবার সেই কঠিন কাজটি করছে টিকা। 

তবে করোনার বিরুদ্ধে টিকা যথার্থ প্রতিরোধক নয়। এটি ভাইরাসটির বিস্তারের গতি ধীর করতে পারে, রোগটি প্রতিরোধ করতে পারে এবং মৃত্যুঝুঁকি কমাতে পারে। তবে এর সবগুলো সমাপ্তি টিকা টানতে পারে না।

আগামী মাসগুলোতে লাখ লাখ মানুষ করোনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হবে। বিষয়টি আরও জটিল হবে যখন এই আক্রান্তদের অধিকাংশই হবে দুই ডোজ টিকাপ্রাপ্ত। এর পেছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে। 

প্রথম কারণটি হচ্ছে, যারা টিকা পায়নি তারা। যুক্তরাজ্যের ৩০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক এখনও দুই ডোজ টিকা পায়নি। এর বাইরে অরক্ষিত কিছু জনগোষ্ঠীকে টিকা দেওয়া হয়নি, যাদের অধিকাংশই শিশু ও তরুণ। এদেরকে খুব বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হচ্ছে না। 

দ্য ওপেন ইউনিভার্সিটির ফলিত পরিসংখ্যানের ইমেরিটাস অধ্যাপক কেভিন ম্যাককনওয়ে বলেন, ‘আমরা জানি, টিকাগুলো শতভাগ যর্থার্থ নয়, তাই হাসপাতালে কিছু রোগীকে যেতে হতে পারে। তবে যেসব প্রাপ্তবয়স্করা হাসপাতালে যাবে তাদের সবাই টিকাপ্রাপ্ত হতে পারে। এর মানে এই নয় যে, টিকা কার্যকর বা সহায়ক নয়। তবে এটি পুরোপুরি সুরক্ষা দেয় না।’

দ্বিতীয় বিষয়টি হচ্ছে বয়স, ২৫ বছরের তরুণের তুলনায় ৭৫ বছরের বৃদ্ধের হাসপাতালে যাওয়ার ঝুঁকি ১০ শতাংশ বেশি।

তৃতীয় উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, দেহে টিকার কার্যকারিতা মেয়াদ। বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, সময়ের প্রেক্ষাপটে দেহে অ্যান্টিবডির পরিমাণ কমে। তবে ইমিউনিটি তৈরি ও সংক্রমণের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডির মাত্রা কমার কোন স্তর পর্যন্ত কাজ করে তা এখনও স্পষ্ট নয়।