আন্তর্জাতিক

মালয়েশিয়ায় লকডাউন শিথিলের প্রশ্নে ক্ষোভ

করোনা পরিস্থিতি খারাপের দিকে থাকলেও মালয়েশিয়ান সরকার ১ আগস্ট থেকে  লকডাউন আর বাড়াচ্ছে না। এই সংবাদ জানিয়েছে বিবিসি। 

দিন দিন মালয়েশিয়া জুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও লকডাউন শিথিল প্রশ্ন এবং ক্ষোভ তৈরি করেছে। নানা মহল থেকে সরকারকে ক্রমাগত প্রশ্নবানে বিদ্ধ করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, যেখানে হাসপাতাল করোনা রোগীতে পরিপূর্ন, কোথাও তিল ধারনের ঠাঁই, চেয়ারে বসে রোগীরা ভাগাভাগি করে অক্সিজেন নিচ্ছে, সেখানে সরকার কি বুঝে লকডাউন তুলে দেওয়ার মত আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়েছে?

মঙ্গলবার (২৭জুলাই) মালয়েশিয়ার সংসদীয় এক অধিবেশনে ডেমোক্রেটিক অ্যাকশন পার্টির ডেপুটি চেয়ারম্যান গোবিন্দ সিংহ সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘লকডাউন তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত কে নিয়েছে? আমাদের কেন জানানো হয়নি? গত সপ্তাহেও তাদের মাঝে কি কি আলোচনা হয়েছে আমরা তা জানি না। কি বুঝে তারা এই সিদ্ধান্ত নিলো? জনগনের উপর এটার কি পরিমান বিরুপ প্রভাব পরতে পারে সরকার কি বুঝেনা! লকডাউনের যখন সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছিল তখন তো কেউ চলাচল করলেও তাকে জরিমানা করা হয়েছিল। এখন কেন লকডাউন তুলে নেওয়া হচ্ছে?’

দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর মত মালয়েশিয়াতেও করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণ ছড়িয়েছে। বলা হচ্ছে, করোনার ঢেউগুলোর মধ্যে এটিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ভয়ংকর। 

মঙ্গলবার (২৭জুলাই) দেশটিতে করোনায় রেকর্ড পরিমান ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত ও ২০৭ জন মারা গেছে। মৃতদেহ দাফন কাজে নিয়োজিত কর্মীরা জানিয়েছে, তাদের কাজের চাপ হঠাৎ বেড়ে গেছে অনেক।   মালয়েশিার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আমরা চলতি করোনা ঢেউয়ের মধ্যবর্তী সময়ও পার করিনি। আমরা জানিনা কবে এটির অবসান ঘটবে। তবে লকডাউন মানব জীবনে সংকট নিয়ে আসছে। অর্থনীতির চাকা মন্থর করে দিয়েছে। বিশেষ করে যারা প্রতিদিন মজুরি ভিত্তিতে কাজ করে এবং নিম্ন আয়ের মানুষ রয়েছে তাদের জীবন দুর্বিষহ করে দিয়েছে। কেউ কেউ নিজেদের বাড়ির বাইরে সাদা পতাকা ঝুলিয়েছে সাহায্য প্রার্থনা করছেন। বহু পরিবার তাদের জমানো টাকার উপর নির্ভর করে চলছে। টাকা বাচিয়ে দীর্ঘদিন চলার জন্য দিনে একবেলা খাবারের উপর নির্ভর করছে অনেকে। তাই লকডাউনের মত বিষয়টি নিয়ে ভাবনার প্রয়োজন রয়েছে। 

এদিকে ২৬ জুলাই মালয়েশিয়ায় কয়েকশ’ ডাক্তার নিজেদের চাকরি স্থায়ীকরন ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে  দেশজুড়ে হাসপাতালগুলোতে বিক্ষোভ করেছে।